ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

কর্তৃপক্ষের উদাসীনতায় বন্ধ মেহেরপুর শিশু পার্ক

মহাসিন আলী || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৪:১৩, ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৪   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
কর্তৃপক্ষের উদাসীনতায় বন্ধ মেহেরপুর শিশু পার্ক

শিশু পার্কের অন্যতম আকর্ষণ নাগরদোলা

মহাসিন আলী, মেহেরপুর : বিভিন্ন উৎসব ঘিরে বিনোদনপ্রিয় মানুষের ঢল নামা মেহেরপুরের সেই গড়পুকুর শিশু পার্কটি এখন এক বিরাণ ভূমি। পাশেই মুরগি ও মাছের আড়ৎ স্থাপন এবং পুকুরপাড় সংস্কার না করায়, আকর্ষণ হারিয়ে ফেলেছে পার্কটি। অযত্ন অবহেলায় নষ্ট হচ্ছে বিপুল অর্থে নির্মিত বিনোদন সরঞ্জামগুলো। পৌর কর্তৃপক্ষের উদাসীনতায় মানুষ বিনোদন বঞ্চিত হচ্ছে বলে অভিযোগ, স্থানীয় বিনোদন পিয়াসীদের।

জানা যায়, ২০০৫-২০০৬ অর্থবছরে ২৭ লাখ টাকা ব্যয়ে শহরের প্রাণকেন্দ্র বড় বাজারের গড়পুকুরকে ঘিরে এই মিনি শিশু পার্কটি তৈরি করে মেহেরপুর পৌরসভা। দৃষ্টিনন্দন নানা উপকরণ দিয়ে সাজানো হয় এর চারপাশ। শিশুদের বিনোদনের জন্য পুকুরের দক্ষিণ পাশে তৈরি করা হয় নাগরদোলা। উপরে ক্যাবল কার, আর পানিতে প্যাডেলচালিত স্পিড বোট- যা আকর্ষণ করত  শিশুসহ সব বয়সী মানুষকে। জেলায় কোন বিনোদন কেন্দ্র না থাকায়, ঈদ ও পয়লা বৈশাখসহ বিভিন্ন উৎসবে মানুষের ঢল নামত এই গড়পুকুরের মিনি পার্কে। দূর-দূরান্ত থেকেও ছুটে আসত শিশু ও বয়স্করা।

স্থানীয়রা জানায়, নির্মাণের মাত্র দু’বছরের মাথায় প্রথম বিপর্যয় আসে এ পার্কটিতে। একদিন হঠাৎ করেই এর ক্যাবল কারে আটকে যায় কয়েক শিশু। পরে, ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের দু’ঘন্টার চেষ্টায় তাদের উদ্ধার করা হয়। এর কিছুদিন পর আবারো একই ঘটনা ঘটলে দর্শনার্থীদের কাছে এটি ভীতিকর হিসেবে পরিচিতি পায়। এ অবস্থায়, ২০০৮ সালের শেষ দিকে বন্ধ হয়ে যায় পার্কটি। পরবর্তীতে তা  চালু করতে পৌর কর্তৃপক্ষের মাঝে দেখা দেয় অনীহা। আর, তখন থেকেই অযত্ন আর অবহেলায় নষ্ট হতে থাকে পার্কের সব মূল্যবান সম্পদ।

তারা এও জানায়, পার্কটি নির্মাণের পর পরই গড়পুকুরের পাশে স্থাপন করা হয় মাছ ও  মুরগীর আড়ৎ। যা গড় পুকুরের চারপাশকে নোংরা ও দূর্গন্ধময় করে তোলে।
 

শুধু শিশু বিনোদনই নয়- বয়স্কদের সকালের হাঁটা ও ব্যায়ামের জন্যও এটি হয়ে উঠেছিল একমাত্র আকর্ষণীয় স্থান। এ ছাড়া বিভিন্ন উৎসবে এ পার্কটি থেকে আয়ও হত ভালো। তারপরও পার্কটি চালু করতে কর্তৃপক্ষের দৃশ্যমান অনীহায় হতাশ এলাকাবাসী।
 

মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালের জুনিয়র কনসালটেন্ট (শিশু) ডা. মৃণাল কান্তি জানান, শিশুদের শারীরিক ও মানসিক বৃদ্ধিতে খেলাধুলা ও পজিটিভ বিনোদন খুবই প্রয়োজন।

চারপাশের পরিবেশ দুষণ ও পরিকল্পনার অভাবেই পার্কটি বন্ধ হয়ে যাওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে মেহেরপুর পৌর মেয়র আলহাজ মোতাচ্ছিম বিল্লাহ মতু বলেন, ঈদের পর পুকুর পাড়ের মাছের আড়ৎ ও মুরগির হাট সরিয়ে আবারও পার্কটি চালু করা হবে।

 

 

রাইজিংবিডি/মেহেরপুর/১২ সেপ্টেম্বর ২০১৪/সুমন

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়