ঢাকা     বুধবার   ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১১ ১৪৩১

মাঠে সুনীল ছেত্রী কেমন?

ক্রীড়া প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৩:৪৬, ১৬ অক্টোবর ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
মাঠে সুনীল ছেত্রী কেমন?

সুনীল ছেত্রী। দক্ষিণ এশিয়ার সেরা ফুটবলার। ভারতের ফুটবলে সবচেয়ে বড় তারকা। যিনি ভারতের হয়ে শতাধিক ম্যাচ খেলেছেন। প্রায় দেড় যুগ ধরে খেলছেন। হয়েছেন ভারতের সর্বকালের সর্বোচ্চ গোলদাতা। সংবাদ সম্মেলন কিংবা মিডিয়ার সামনে ভীষণ বিনয়ী। কিন্তু মাঠে সুনীল ছেত্রী ভয়ঙ্কর। প্রতিপক্ষের খেলোয়াড়দের মনোবল ও দর্শকদের হৃদয় ভাঙতে পারঙ্গম।

আর সেটা করতে গিয়ে প্রতিপক্ষের খেলোয়াড়দের স্লেজিং থেকে শুরু করে গালি দিতেও দ্বিধাবোধ করেন না। আর সাইলেন্টলি কুনুই কিংবা হাত চালিয়ে প্রতিপক্ষের খেলোয়াড়দের আহতও করে থাকেন। যেমন গতকাল ম্যাচের শুরুতেই বাংলাদেশের অন্যতম সেরা ডিফেন্ডার ইয়াসিন খানকে কুনুই দিয়ে মাথা ফাটালেন। শুধু ইয়াসিন কেন? বিপলু আহমেদ, রবিউল হাসান, মোহাম্মদ ইব্রাহিম থেকে শুরু করে সাদ উদ্দিনকেও বাদ দেননি ছেত্রী। গোল করার পর সাদ উদ্দিনকে নানাভাবে হেয় করেছেন তিনি। বকাও দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশের খেলোয়াড়রা। যদিও সাদ উদ্দিন বলছেন যে এগুলো খেলারই অংশ। কিন্তু সুনীল ছেত্রীর মতো খেলোয়াড়ের কাছ থেকে এমন আচরণ প্রত্যাশা করেননি।

টিম হোটেলে আজ এ বিষয়ে বিপুল আহমেদ বলেছেন, ‘সুনীল ছেত্রীকে আমরা আসলে বড় মাপের খেলোয়াড়ের পাশাপাশি বড় মনের মানুষও মনে করেছিলাম। তার খেলা দেখে অনেকেই মুগ্ধ হয়। কিন্তু মাঠের বাইরের সুনীল ছেত্রী, আর মাঠের সুনীল ছেত্রী এক নন। মাঠে তার আচরণ খুবই রুঢ়। গতকাল সাদ গোল করার পর তাকে নানাভাবে হেনস্তা করার চেষ্টা করেছেন। বাজে ভাষায় বকা দিয়েছেন। আমার সঙ্গেও খারাপ আচরণ করেছেন। ইয়াসিনকে তো কুনুই দিয়ে মাথাই ফাটিয়ে দিয়েছেন। হয়তো গোল হজম করার পর মেজাজ হারিয়েছিলেন তিনি।’

শেষ দিকে বদলি খেলোয়াড় হিসেবে মাঠে নেমেছিলেন মাহবুবুর রহমান সুফিল। তিনিও জানিয়েছেন সুনীল ছেত্রীর আচরণে সন্তুষ্ট নন, ‘সুনীল ছেত্রী আমাদের কাছে বড় তারকা। আমরা তাকে সম্মান করি। কিন্তু আমাদের সঙ্গে তার আচরণ ভালো ছিল না। আমাদের অনেকের সঙ্গেই মাঠে খারাপ ভাষা ব্যবহার করেছেন। তাকে রুখতে গেলে, তার কাছ থেকে বল কেড়ে নিলেই বাজে ভাষায় স্লেজিং করেছেন।’

তাদের আগে মোহাম্মদ ইব্রাহিমও একই অভিযোগ করেছেন। অভিযোগ করেছেন ইয়াসিন খানও। ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের হয়ে একমাত্র গোলদাতা সাদও বিষয়টি জানিয়েছেন, ‘আমি গোল করার পর খুব বাজে ভাষায় স্লেজিং করেছেন। শুরু থেকেই এটা করে আসছিলেন। যাতে আমরা মন খারাপ করি এবং খারাপ খেলি। কিন্তু আমি এগুলোতে কর্ণপাত করিনি। অবশ্য দুই একবার আমিও তার বকার জবাব দিয়েছি। আসলে এগুলো খেলার অংশ বলেই আমি মনে করি। প্রতিপক্ষকের খেলোয়াড়দের মনোবল নষ্ট করার একটা ন্যাক্কারজনক উপায় এটি। এটা পৃথিবীর সব দেশেই হয়ে থাকে।’


কলকাতা/আমিনুল

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়