ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

ঘুরে এলাম বাংলাদেশের দূতাবাস

আমিনুল ইসলাম || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১০:২২, ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
ঘুরে এলাম বাংলাদেশের দূতাবাস

থাইল্যান্ডে এএফসি অনূর্ধ্ব-১৬ নারী ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপ কাভার করতে ইচ্ছুক সাংবাদিকদের ‘এম’ টাইপ ভিসা দেয়া নিয়ে বেশ গড়িমসি করছিল থাইল্যান্ড ভিসা সেন্টার।  শেষ পর্যন্ত ব্যাংককে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় মাত্র ৭ ঘণ্টায় ভিসা দেয়া হয় (তাও টুর্নামেন্ট শুরুর একদিন আগে)।  সে কারণে থাইল্যান্ডে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. নাজমুল কাউনাইনকে একটা ধন্যবাদ না দিলেই নয়।

তবে ধন্যবাদ দেওয়ার সুযোগটা যে এতো তাড়াতাড়ি পেয়ে যাব সেটা ভাবিনি।  ১৫ সেপ্টেম্বর সকালে থাইল্যান্ডে আসি আমরা। সেদিন সন্ধ্যায় চনবুরি স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের ম্যাচ ছিল।  সেই ম্যাচ দেখতে মাঠে এসেছিলেন বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত। তার সঙ্গে বাংলাদেশ থেকে আসা সাংবাদিকরা দেখা করে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।  তিনি আমন্ত্রণ জানান দূতাবাস ঘুরে দেখার।  সেই আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে বৃহস্পতিবার বিকেলে আমরা ক’জন গিয়েছিলাম দূতাবাসে।

ঢাকার মতো ব্যাংকক শহরের জ্যাম পেরিয়ে দূতাবাসে পৌঁছাতে পৌঁছাতে বিকেল প্রায় তিনটা।  অভ্যর্থনা কক্ষ পেরিয়ে আমাদের ভেতরে নিয়ে যাওয়া হল।  এক সময় নিয়ে যাওয়া হল রাষ্ট্রদূতের কক্ষে।  সেখানে তিনি আমাদের সঙ্গে অনেকক্ষণ গল্প করেন।  কে কোন পত্রিকা/সংবাদ মাধ্যম থেকে এসেছি সেটা জানতে চান এবং পরিচিত হন।  তিনি এবং ফার্স্ট সেক্রেটারি মোহাম্মদ নাজমুল হক ও অন্যান্য সেক্রেটারিরা দেশীয় ব্র্যান্ড ওয়ালটন গ্রুপের অগ্রগতির প্রশংসা করেন।

এ সময় রাষ্ট্রদূত তার শৈশব-কৈশরের ফুটবল খেলা, ঢাকা স্টেডিয়ামে আবাহনী-মোহামেডানের দ্বৈরথ দেখার নানান মজার মজার স্মৃতিচারণ করেন।  বাংলাদেশের ফুটবলের হারানো ঐহিত্য নিয়ে কথা বলেন।  পাশাপাশি বাংলাদেশে নারী ফুটবলের উন্নতির প্রশংসা করেন। বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপটে নানা প্রতিকূলতা পেরিয়ে বাংলাদেশের মেয়েরা যে ফুটবল খেলছে এবং এএফসির মতো টুর্নামেন্টে খেলছে, সাফে ভালো করছে তার ভূয়সী প্রশংসা করেন।  থাইল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশের মেয়েদের পারফরম্যান্সে তিনি সন্তুষ্ট।  জাপানের সঙ্গে না পারার বাস্তবতা নিয়েও কথা বলেন।

এরপর ফার্স্ট সেক্রেটারি মোহাম্মদ নাজমুল হক দূতাবাস ঘুরিয়ে দেখান ও সেখানে কর্মরত বাংলাদেশিদের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন। মোট ৩০ জন কর্মকর্তা ও কর্মচারী রয়েছেন ব্যাংককে বাংলাদেশের দূতাবাসে।  তার মধ্যে ১৩ জন রয়েছেন বাংলাদেশি। তাদের সঙ্গে গল্প ও চা চক্রের মধ্য দিয়ে কীভাবে যে দুই ঘণ্টা সময় কেটে গেল টেরই পাওয়া যায়নি।


থাইল্যান্ড/আমিনুল/শাহনেওয়াজ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়