প্রতি বছরের মতো এ বছরও পটুয়াখালীর কলাপাড়া ও কুয়াকাটায় অনুষ্ঠিত হবে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ঐতিহ্যবাহী রাস লীলা। সার্বজনীন এ উৎসবে আগমন ঘটবে হাজারো পুণ্যার্থীর।
আন্ধারমানিক নদী লাগোয়া পৌর শহরের শ্রী শ্রী মদন মোহন সেবাশ্রম ও কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত সংলগ্ন শ্রী শ্রী রাধাকৃষ্ণ মন্দির সাজানো হয়েছে নতুন সাজে। রাস লীলায় আসা পুণ্যার্থীদের সার্বিক নিরাপত্তায় মাঠে থাকবে আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা।
কলাপাড়ার শ্রী শ্রী মদন মোহন সেবাশ্রমের পুরোহিত পরিমল দাস জানান, মানবতা রক্ষায় দ্বাপর যুগে কংশ রাজাকে বস করে পূর্নিমা তিথিতে হয় রাধা কৃষ্ণের পরম প্রেম। সেই থেকেই মূলত রাস উৎসবের প্রচলন। তবে সত্য ও সুন্দরের জয়ের আকাঙ্ক্ষায় প্রায় দুইশ বছর ধরে কলাপাড়ায় রাস উৎসব পালন করে আসছেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। এরই ধারাবাহিকতায় রোববার (৬ নভেম্বর) রাত নয়টায় অধিবাসের মধ্য দিয়ে শুরু হবে রাস পূজার আনুষ্ঠানিকতা। পরের দিন সোমবার বিকাল ৪টা ২৩ মিনিটে শুরু হবে পূর্ণিমা। থাকবে পরদিন মঙ্গলবার বিকাল ৪টা ১৯ মিনিট পর্যন্ত। এই তিথিতে পূর্ব আকাশে সূর্য ওঠার সঙ্গে সঙ্গে কুয়াকাটা সৈকতে গঙ্গাস্নান শেষ করবেন পুণ্যার্থীরা। এর পর মন্দিরের আঙ্গিনায় ১৭ জোড়া রাধা কৃষ্ণের যুগল প্রতিমা দর্শন করবেন তারা। গঙ্গাস্নানে পাপমোচন ও মনের বাসনা পূর্ণ হবে পুণ্যার্থীদের। দূর হবে দেশের সকল অশুভ শক্তি এমনটাই প্রত্যাশা আমাদের।
কুয়াকাটা শ্রী শ্রী রাধাকৃষ্ণ মন্দিরের সাধারণ সম্পাদক নীহার রঞ্জন মন্ডল জানান, রাস পূর্ণিমা উপলক্ষে ইতোমধ্যে প্রস্তুত করা হয়েছে ১৭ জোড়া যুগল প্রতিমা। এছাড়া প্যান্ডেল গোছানো এবং লাইটিংয়ের কাজও শেষ পর্যায়ে। ইতিমধ্যে অনেক পুণ্যার্থী কুয়াকাটায় আসতে শুরু করেছেন।
মহিপুর থানার ওসি আবুল খায়ের জানান, রাস পূর্ণিমা উপলক্ষে আমাদের বাড়তি টহল টিম মোতায়েন থাকবে। এছাড়া যে কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে বিভিন্ন পর্যটন স্পটেও পুলিশ মোতায়েন থাকবে।
কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শংকর চন্দ্র বৈদ্য জানান, কুয়াকাটায় আগত পুণ্যার্থীদের সকল ধরনের নিরাপত্তায় উপজেলা প্রশাসন সর্বোচ্চ সচেষ্ট রয়েছে। আশা করছি সুষ্ঠভাবে এ রাস মেলা সম্পন্ন হবে।