সারা বাংলা

‘ভোট বিপ্লবের মাধ্যমে বিএনপির সন্ত্রাস-নৈরাজ্যের পরাজয় ঘটবে’

আগামী ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোট বিপ্লবের মাধ্যমে বিএনপির সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যের চূড়ান্ত পরাজয় ঘটবে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা-৩ আসনের আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী নসরুল হামিদ।

বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) কেরানীগঞ্জ উপজেলার তেঘরিয়া ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডে আব্দুল্লাহপুর সানরাইজ কিন্ডারগার্টেন স্কুলে ময়দানে আয়োজিত নির্বাচনি সুধী সমাবেশে তিনি এ মন্তব্য করেন। 

নসরুল হামিদ বলেন, আওয়ামী লীগ কখনও রাজনৈতিকভাবে সন্ত্রাসকে প্রশ্রয় দেয় না। আমরা যখন থেকে এই কেরানীগঞ্জ এলাকায় রাজনীতি শুরু করেছি, আওয়ামী লীগ থেকে এই এলাকায় সন্ত্রাসকে প্রশ্রয় দেওয়া হয়নি। বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সময় এই এলাকায় এমন কোনও অলিগলি ছিল না, যেখানে সন্ত্রাসের রাজত্ব ছিল না। 

কেরানীগঞ্জের ‘অন্ধকার সময়’ মনে করে নৌকার এ প্রার্থী বলেন, মানুষ সন্ধ্যার পর বাসা থেকে বের হতে পারতেন না। কারণ, সন্ত্রাস-চাঁদাবাজি ছিল এই এলাকার নৈমিত্তিক ঘটনা। এই অঞ্চলে উন্নয়ন বলে কিছু ছিল না। ঢাকার খুব কাছে হওয়ার পরও এ অঞ্চল এতোটাই অবহেলিত ছিল যে, মানুষ ‘বাতির নিচে অন্ধকার’ বলে কেরানীগঞ্জকে অভিহিত করতো। 

‘অন্ধকার সময়’ উত্তরণের গল্পও ওঠে আসে ঢাকা-৩ এর এ নৌকার কাণ্ডারির কণ্ঠে। তিনি বলেন, কেরানীগঞ্জের অন্ধকারের সেই অবস্থার উত্তরণ আমরা করেছি। মানুষের মনে এখন এটা প্রতিষ্ঠিত যে, কেরানীগঞ্জ এখন আর সন্ত্রাসের জনপদ না। কেরানীগঞ্জ এখন বসবাস উপযোগী ভালো উপশহর। এখানে উন্নয়ন হয়েছে, রাস্তা-ঘাট, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান যেমন হয়েছে, ঠিক তেমনই মানুষের নিরাপত্তা আছে। ২৪ ঘণ্টা এখন বিদ্যুৎ থাকে। ব্যবসা-বাণিজ্যের সুযোগ তৈরি হয়েছে। দিনে দিনে এই সুযোগ-সুবিধাগুলো আরও বাড়ছে। 

এ সময় বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাস-নৈরাজ্য প্রতিহতের ডাক দিয়ে নসরুল হামিদ বলেন, যদি উন্নয়ন চান, বিএনপি-জামায়াতে সন্ত্রাস-নৈরাজ্যকে প্রতিহত করতে চান; তাহলে নৌকা মার্কায় ভোট দিন। নৌকা মার্কায় ভোট দিলে দেশের উন্নয়ন হয়। মানুষের ভাগ্যের উন্নয়ন হয়। আওয়ামী লীগ পুনরায় সরকার গঠন করলে কেরানীগঞ্জে আরও উন্নয়ন হবে। 

তেঘরিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মহর চাঁন মোল্লার সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কেরানীগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান ও দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহীন আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক ম.ই মামুন, তেঘরিয়া ইউনিয়ন চেয়ারম্যান লাট মিয়াসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা।