সারা বাংলা

কনকনে ঠান্ডায় কুড়িগ্রামের জনজীবন স্থবির

ঘন কুয়াশা আর কনকনে ঠান্ডায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে কুড়িগ্রামের জনজীবন। গত এক সপ্তাহ ধরে সন্ধ্যা নামার সাথে সাথে নিম্নগামী হয়ে পড়ছে তাপমাত্রা। ঘন কুয়াশায় ঢেকে থাকছে প্রকৃতি। এ অবস্থা চলছে পরদিন সকাল ১০টা থেকে ১২ পর্যন্ত। দিনের বেলায়ও হেডলাইট জ্বালিয়ে চলছে যানবাহন। এমন পরিস্থিতিতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন ছিন্নমুল ও নিম্ন আয়ের মানুষেরা।

মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কিন্তু দুপুর গড়িয়ে গেলেও সূর্যের দেখা না মেলায় বেড়েছে কুয়াশার প্রভাব। বৃষ্টির মতো পড়ছে কুয়াশার কনা।

জেলার হাসপাতালগুলোতে বেড়েছে ডায়রিয়া, নিউমোনিয়াসহ শীতজনিত রোগীর সংখ্যা। কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের ডায়রিয়া ওয়ার্ডে ১২টি বেডের বিপরীতে চিকিৎসা নিচ্ছেন প্রায় ৭০ জন রোগী। আক্রান্তদের বেশির ভাগই শিশু। অন্যদিকে শিশু ওয়ার্ডে ৪৮টি বেডের বিপরীতে ভর্তি রয়েছে ৬২ জন শিশু। জায়গা সংকুলান না হওয়ায় মেঝেতেই নিতে হচ্ছে চিকিৎসা। 

কনকনে ঠান্ডার প্রভাবে শিশুরা ডায়রিয়া, নিউমোনিয়াসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে বলে জানান অভিভাবকরা।

কুড়িগ্রাম ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের ডায়রিয়া ওয়ার্ডে শিশুর চিকিৎসা নিতে আসা মরিয়ম বেগম বলেন, আমার নাতনিকে নিয়ে হাসপাতালে আছি। ঠান্ডার কারণে ডায়রিয়া শুরু হয়েছে। বাড়িতে ওষুধ খাওয়ানোর পরও ভালো হয় নাই। এজন্য হাতপাতালে ভর্তি করিয়েছি। এখন কিছুটা সুস্থ।

কুড়িগ্রাম পৌরশহরে অটোরিকশাচালক মমিন জানান, খুবই ঠান্ডা। বাইরে বের হলে হাত, পা ধরে আসে। তারপরও বের হতে হয়। সারাদিন সুর্যের দেখা নাই।  

কুড়িগ্রামের কৃষি আবহাওয়া অফিসের পর্যবেক্ষক সুবল চন্দ্র জানায়, আজ (মঙ্গলবার) জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ অবস্থা আরো কয়েকদিন চলতে পারে।