সারা বাংলা

পঞ্চগড়ে কনকনে শীত, ঘন কুয়াশা

দেশের সর্ব উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে ঘন কুয়াশার সঙ্গে কনকনে শীত জেঁকে বসেছে। তীব্র শীতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। রাতভর বৃষ্টির মতো ঝরেছে কুয়াশা। দুদিন ধরে দেখা নেই সূর্যের। তাপমাত্রার পারদ নেমেছে ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে।

আবহাওয়া অফিসের তথ্যমতে, দিনের সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চ তাপমাত্রার ব্যবধানও কমে এসেছে। বুধবার (১০ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এর আগে, মঙ্গলবার একই সময়ে তাপমাত্রা ছিল ১১ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

এদিকে, ঘন কুয়াশা ও হিমেল বাতাসে জনজীবন স্থবির হয়ে পড়েছে। দুর্ভোগে রয়েছে খেটে খাওয়া মানুষ। সময়মত কাজে যেতে পারছেন না তারা। শীতের প্রকোপ থেকে বাঁচতে অনেকে খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন।

সদর উপজেলার পানিমাছ এলাকার দিনমজুর ওমর আলী বলেন, শীতের কারণে সকালে কাজে যেতে কষ্ট হয়। একটু দেরিতে গেলে গৃহস্থ আর কাজে নিতে চায় না। তাই, দুইদিন ধরে কাজে যাওয়া হয় না।

ভ্যানচালক আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, শীতের কারণে সকালে বের হওয়া যায় না, আবার সন্ধ্যার আগেই ঘরে ঢুকতে হয়। এছাড়া, সকালে এবং সন্ধ্যার পরে শহরে লোকজনও কম থাকে। সবমিলিয়ে রোজগার কম হচ্ছে।

ট্রাকচালক রায়হান কবির বলেন, শীতের সময় গাড়ি চালাতে কষ্ট হয়। কোনো কোনো দিন কুয়াশা বেশি থাকে। ফলে, গাড়ি ধীর গতিতে চালাতে হয় এতে সময় বেশি লাগে। এছাড়া, কুয়াশার কারণে দিনের বেলাতেও হেডলাইট জ্বালিয়ে গাড়ি চালাতে হয়।

তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রাসেল শাহ্‌ বলেন, তেঁতুলিয়ার আকাশের উপরিভাগে ঘন কুয়াশা থাকায় সূর্যের তাপ ভূপৃষ্ঠে আসছে না। বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বেশি রয়েছে। বাতাসের আর্দ্রতা ১০০ শতাংশ, আর গতিবেগ ঘণ্টায় ৬-১২ কিলোমিটার হওয়ায় শীতের তীব্রতা বেশি অনুভূত হচ্ছে। আগামী কয়েকদিন আবহাওয়া একই রকম থাকতে পারে।