সারা বাংলা

জয়পুরহাটে হত্যা ও মাদক মামলায় ৩ জনের যাবজ্জীবন

জয়পুরহাটে হত্যা ও মাদকের পৃথক মামলায় তিনজনের যাবজ্জীবন ও একজনের ১০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) দুপুরে অতিরিক্ত দায়রা জজ-২ আদালতের বিচারক আব্বাস উদ্দীন এ রায় দেন।

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- পাঁচবিবি উপজেলার মহিপুর এলাকার মৃত ফরমান আলীর ছেলে ছানোয়ার হোসেন, সদরের রহিমাপুর এলাকার মৃত ছলিমের ছেলে রাব্বি হাসান লিটন ও ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার কাঠিপাড়া গ্রামের ইসমাইলের ছেলে মাহফুজ। এছাড়া দিনাজপুরের হাকিমপুর উপজেলার আলী মিয়ার ছেলে এরফান রশিদকে ১০ বছরের সাজা দেওয়া হয়। এর মধ্যে ছানোয়ার পলাতক রয়েছেন।

মামলার বিবরণে জানা গেছে, ছানোয়ার হোসেনের স্ত্রী মেরিনার কিছু টাকা মানুষের কাছে সংরক্ষিত ছিল। সেই টাকা ছানোয়ার দীর্ঘদিন থেকে এনে দেওয়ার জন্য বলতেন স্ত্রীকে। এ নিয়ে তাদের মধ্যে ঝগড়াঝাটিও হয়। এরই জেড়ে ২০১৯ সালের ১০ মার্চ রাতের কোনো এক সময় আসামি ধারালো অস্ত্র দিয়ে মেরিনাকে মাথায় ও ঘাড়ে আঘাত করে হত্যা করে লাশ বাড়ির দরজার সামনে ফেলে যান। পরের দিন তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

এ ঘটনায় নিহতের ছেলে সোহেল রানা বাদী হয়ে পাঁচবিবি থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এরপর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সিআইডির পুলিশ পরিদর্শক জিয়াউর রহমান ২০২১ সালের ৮ আগস্ট অভিযোগপত্র দাখিল করেন। পরে মামলার দীর্ঘ শুনানি শেষে বিজ্ঞ আদালত ছানোয়ারের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। তবে তিনি পলাতক থাকায় তার গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়।

অন্যদিকে ২০২১ সালের ১৩ ডিসেম্বর সদর উপজেলার ধলাহার রঘুনাথপুর এলাকা থেকে ২৫ বোতল ফেনসিডিলসহ রাব্বি হাসান লিটনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এ মামলায় তার যাবজ্জীবনসহ ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

এছাড়া ২০১৯ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর বিনধারা এলাকা থেকে ২০০ বোতল ফেনসিডিলসহ মাহফুজ ও এরফানকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এ ঘটনায় মাহ্ফুজকে যাবজ্জীবন ও এরফানকে ১০ বছরের সাজা দেন আদালত। একই সঙ্গে দুইজনকেই ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়।