ফেনীর সোনাগাজীতে ছোটন হত্যাকাণ্ডে গ্রেপ্তারকৃত দোকান কর্মচারী আবদুল্লাহ আল মামুন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) ফেনীর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলি আদালতে জবানবন্দি দেন তিনি। পরে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারক সাইয়েদ মো.শাফায়েত।
আরও পড়ুন: নিহত ও অভিযুক্তের বিরুদ্ধে রয়েছে একাধিক মামলা
এর আগে, নিহতের ভাই মো.আরমান হোসেন বাদী হয়ে আরিফুল ইসলাম হৃদয়, দোকান মালিক মো. নিলয় এবং ওই দোকানের কর্মচারী মামুনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন থানায়।
গ্রেপ্তার মামুন মতিগঞ্জ ইউনিয়নের সাতবাড়িয়া এলাকার মফিজ উদ্দিন সবুজের ছেলে। কয়েক মাস ধরে নিলয়ের দোকানে কাজ করছিলেন তিনি।
আরও পড়ুন: ফেনীতে তুচ্ছ ঘটনায় ছুরিকাঘাতে যুবক খুন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সোনাগাজী মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ফরহাদ কালাম সুজন বলেন, গ্রেপ্তার হওয়া মামুনকে আদালতে নেওয়া হলে জবানবন্দিতে ছোটন হত্যার বিস্তারিত উঠে আসে। জবানবন্দিতে মামুন বলেন, নিলয়ের দোকানে ক্রেতা হিসেবে ছোটন চিপস কিনতে আসেন। তখন ইফতারের উপকরণ কিনতে নিলয় দোকানের বাইরে ছিলেন। এসময় মামুন আগের বকেয়া থাকায় দোকানের মালিক নিলয়ের অনুমতি ছাড়া নতুন করে বাকি দেওয়া যাবে না বলে জানিয়ে দেন ছোটনকে। মামুনের সঙ্গে কথা কাটাকাটিতে জড়িয়ে পড়েন ছোটন। এরই মধ্যে ইফতার কিনে দোকানে আসেন নিলয়। তিনিও বাকিতে মাল দিবেন না জানিয়ে দিলে দুই জনের মধ্যে ঝগড়া শুরু হয়। এসময় ছোটন নিলয়ের মুখে ঘুষি দিলে তার নাক ফেটে রক্ত পড়তে থাকে। ওই সময় নিলয়ের বড় ভাই আরিফুর রহমান হৃদয় ছোট ভাইকে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখে ছোটনের সঙ্গে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে যান।দুইজনের মারামারির একপর্যায়ে দোকানের ভেতরে ইফতারি জন্য রাখা সালাদ কাটার ছুরি এনে ছোটনের বুকে আঘাত করেন হৃদয়। এরপর অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে মাটিতে পড়ে যান ছোটন।
সোনাগাজী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুদ্বীপ রায় বলেন, প্রথমে দোকান কর্মচারী মামুনকে প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছিল। বক্তব্য শুনে, ঘটনার সঙ্গে তার (মামুন) সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়। পরে তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়। ১৬৪ ধারায় আদালতে জবানবন্দি দেন মামুন। তিনি স্বীকার করেন, ছোটনের সঙ্গে প্রথম তার (মামুন) ঝগড়া হয়। এরই সূত্র ধরে নিলয় ও হৃদয় এ ঘটনায় জড়িত পড়েন। সর্বশেষ হৃদয়ের ছুরিকাঘাতে ছোটনের মৃত্যু হয়।