সারা বাংলা

বিএনপিনেতা সালাহউদ্দিন ২ মামলায় খালাস  

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদের বিরুদ্ধে চলমান দুটি ফৌজদারি মামলা স্থগিত করেছেন আদালত। বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে কক্সবাজারের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আকতার জাবেদ মামলা স্থগিত করে আসামিদের খালাস দেন।  

এর আগে দুপুর ২টার দিকে দলীয় নেতাকর্মী ও সমর্থকদের নিয়ে আদালত প্রাঙ্গণে আসেন হন সালাহউদ্দিন আহমদ। এরপর তার আইনজীবীদের সঙ্গে আদালতে উপস্থিত হন। 

এ সময় সালাহউদ্দিন আহমদের নিযুক্ত আইনজীবীরা আদালতে তাদের মক্কেলকে স্বশরীরে হাজির দেখিয়ে অব্যাহতি দেয়ার জন্য আবেদন জানান। মক্কেলকে দেশের একজন সম্মানিত নাগরিক উল্লেখ করে বলেন, ঘটনা ২০০১ সালে সংঘটিত হলেও চকরিয়া থানায় মামলা করা হয় ২০০৭ সালে। রাজনৈতিকভাবে হয়রানি করতেই সালাহউদ্দিন আহমদের নামে মামলা দুটি করা হয়। যার কারণে মামলা থেকে বিএনপির এই নেতাকে অব্যাহতি দেয়ার আবেদন জানান। শুনানি শেষে আদালত দুটি মামলা স্থগিত করে সকল আসামিকে খালাস দেন। 

আদালত থেকে বের হয়ে সালাহউদ্দিন আহমদ সাংবাদিকদের বলেন, ‘আদালতে দীর্ঘ শুনানি শেষে আমার বিরুদ্ধে দায়ের মামলা থেকে আমাকে অব্যাহতি দিয়েছেন। আজ ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।’ 

কক্সবাজারের সিনিয়র আইনজীবী আবু ছিদ্দিক ওসমানি বলেন, দীর্ঘ ১৭ বছর ধরে এ মামলা দুটিতে সরকার কিংবা বেসরকারি সাক্ষী আদালতে হাজির হননি। মামলা দুটি অব্যাহত থাকলে অহেতুক আদালতের কর্মঘণ্টা নষ্ট হবে। সেই মর্মে মামলা দুটি ফৌজদারি কার্যবিধির ২৪৯ ধারায় সকল আসামিকে অব্যাহিত দিয়েছেন আদালত। 

আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০০৭ সালে মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলা দুটি দায়ের করা হয়। সেই মামলা শুনানি শেষে আদালত আজ তাকে খালাস দিয়েছেন। 

২০০১ সালে প্রতিমন্ত্রী থাকাকালে মৎস্য ঘের লুটের অভিযোগ এনে চকরিয়া-পেকুয়া আসনের তৎকালীন সংসদ সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদকে প্রধান আসামি করে চকরিয়া থানায় দুটি ঘটনায় ৫৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন চকরিয়া উপজেলার পালাকাটা এলাকার বদিউর রহমান ও বদরখালীর মাহমুদুল হক।