গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে মানসিক প্রতিবন্ধী গৃহকর্মী খুরশিদা আক্তার (৩৭) হত্যার প্রধান অভিযুক্ত নাজমুল হক ঠাকুর ওরফে বাদল ঠাকুরকে (৪২) গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) র্যাব-০৮ মাদারীপুর ক্যাম্প থেকে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বিবাহ বর্হিভূত সম্পর্ককে কেন্দ্র করে এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে বলে জানিয়েছে র্যাব।
গ্রেফতারকৃত নাজমুল হক ঠাকুর ওরফে বাদল ঠাকুর গোপালগঞ্জ জেলার মুকসুদপুর উপজেলার পশ্চিম গোপীনাথপুর গ্রামের মৃত নুরুল হক ঠাকুরের ছেলে।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে র্যাব-০৮ জানায়, মাদারীপুর জেলার সদর উপজেলার মস্তফাপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় প্রতিবন্ধী গৃহকর্মী খুরশিদা আক্তার (৩৭) হত্যার প্রধান অভিযুক্ত নাজমুল হক ঠাকুর ওরফে বাদল ঠাকুর অবস্থান করছে এমন গোপন সংবাদ পায়।
পরে বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) বিকেলে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় র্যাব-০৮, সিপিসি-০৩ মাদারীপুর ক্যাম্প ও সদর কোম্পানী (ভাটিয়াপাড়া) ক্যাম্প র্যাব-০৬ খুলনার যৌথ একটি দল অভিযান চালিয়ে ওই স্থান থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, মুকসুদপুর উপজেলার নগর সুন্দরদী গ্রামের মৃত সিরাজুল হকের মেয়ে খুরশিদা আক্তার মানসিক প্রতিবন্ধী ছিলেন। তিনি নাজমুল হক ঠাকুর ওরফে বাদল ঠাকুরের বাড়িতে গৃহকর্মীর কাজ করতেন। এই সূত্রে তাদের মধ্যে বিবাহ বর্হিভূত সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এ নিয়ে নাজমুলের পরিবারে কলহ সৃষ্টি হয়।
গত ২১ সেপ্টেম্বর বিকেলে ভুক্তভোগী পেঁপে আনার জন্য বাড়ি থেকে বের হলে আর ফিরে আসেনি। গত ২৪ সেপ্টেম্বর দুপুরে বাড়ির পাশের পুকুরে খুশিদার গলিত মরদেহ ভেসে ওঠে। খবর পেয়ে মুকসুদপুর থানা পুলিশ মরদেহটি উদ্ধার করে। মরদেহের শরীরে ইট বাঁধা ছিল। এ ঘটনায় পরের দিন মুকসুদপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। এরপর থেকে অভিযুক্ত আসামি গা ঢাকা দিয়ে ছিল।