সারা বাংলা

নেত্রকোণায় ইমামতির দ্বন্দ্বে চাচাকে হত্যা, অভিযুক্ত গ্রেপ্তার

নেত্রকোণার পূর্বধলায় ইমামতি নিয়ে দ্বন্দ্বে চাচা হাসিম উদ্দিনকে (৬৫) হত্যার অভিযোগে করা মামলায় অভিযুক্ত ভাতিজা শাহজাহানকে (৩৫) গ্রেপ্তার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। 

শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সকাল সোয়া ৭টার দিকে ঢাকার ধামরাই এলাকা থেকে শাহজাহানকে গ্রেপ্তার করা হয়।

শাহজাহান পূর্বধলা উপজেলার আগিয়া ইউনিয়নের জটিয়াবর গ্রামের মৃত আব্দুল লতিফের ছেলে এবং নিহত হাসিম উদ্দিনের আপন ভাতিজা।

এর আগে মঙ্গলবার ফজরের নামাজের ইমামতি নিয়ে দ্বন্দ্বে পিটুনিতে হাসিম উদ্দিন নিহত হন। এ ঘটনায় নিহত হাসিম উদ্দিনের স্ত্রী মাজেদা খাতুন বাদী হয়ে শাহজাহানকে একমাত্র আসামি করে পূর্বধলা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। জেলা পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বিশেষ শাখা) মো. লুৎফর রহমান এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

মামলার বরাতে লুৎফর রহমান বলেন, জটিয়াবর মধ্যপাড়া জামে মসজিদের নির্ধারিত ইমাম মাওলানা শামীম হোসেন। তার অনুপস্থিতিতে প্রায়ই মসজিদে নামাজ পড়াতেন গ্রামের হাসিম উদ্দিনের ছেলে হাফেজ মো. আজিজুল হক। গত মঙ্গলবার ফজরের নামাজ পড়ানোর সময় ইমাম শামীম হোসেন অনুপস্থিতি ছিলেন। এ সময় আজিজুল হক নামাজ পড়াতে গেলে তার চাচাত ভাই শাহজাহান মিয়া আপত্তি তুলেন। আজিজুল ও শাহজাহানের মধ্যে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে বিরোধ চলছিল। এর জেরে আজিজুলের পেছনে নামাজ না পড়ে মসজিদের বারান্দায় একা নামাজ আদায় করেন শাহজাহান। নামাজ শেষে মসজিদ প্রাঙ্গণে আজিজুল ও শাহজাহানের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। এ সময় আজিজুলের বাবা হাসিম উদ্দিন উভয়কে থামতে বললে ভাতিজা শাহজাহান তার প্রতি চড়াও হন। একপর্যায়ে শাহজাহান হাসিম উদ্দিনকে বেধরক কিল-ঘুষি মারলে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন এবং কিছুক্ষণের মধ্যেই মারা যান। 

এ ঘটনায় আসামি গ্রেপ্তারে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) ও থানা পুলিশের সমন্বয়ে একটি টিম গঠন করে দেন পুলিশ সুপার মির্জা সায়েম মাহমুদ। গোপন সংবাদ ও তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় শাহজাহানের অবস্থা ঢাকার ধামরাই এলাকার মালঞ্চ গ্রামে সনাক্ত করা হয়। পরে শুক্রবার সকালে ডিবি পুলিশের পরিদর্শক মো. শাহানুর আলমের নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে শাহজাহানকে গ্রেপ্তার করা হয়।