সারা বাংলা

অস্ত্র উঁচিয়ে গুলি করা রাসেল দুই গ্রুপের মামলাতেই আসামি

বন্ধন পরিবহন ও বাস টার্মিনাল দখল নিয়ে দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় দুই পক্ষই অস্ত্র উঁচিয়ে গুলি করা রাসেলকে আসামি করেছে। অবশ্য রাসেল দুই পক্ষের আসামি হলেও অভিযুক্ত রাসেল এখনো অধরাই রয়ে গেছে।

প্রকাশ্য দিবালোকে প্রশাসনের সামনে হাতে অস্ত্র নিয়ে গুলি করার ঘটনায় এখনো আতঙ্ক কাটছে না স্থানীয়দের। 

গত ২২ সেপ্টেম্বর দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত নারায়ণগঞ্জ শহরের ১ নং রেলগেইট এলাকার কেন্দ্রীয় বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এসময় উভয় পক্ষের প্রায় ২০ নেতাকর্মী আহত হয়েছে। এই ঘটনায় তাৎক্ষণিকভাবে ৮ জনকে সেনাবাহিনী আটক করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করে। কিন্তু অস্ত্রধারী অভিযুক্ত সেই রাসেলকে আটক করতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। 

পুলিশ জানায়, অস্ত্র উঁচিয়ে গুলি করা যুবকের নাম রাসেল। তার বাড়ি ফতুল্লা থানার মাসদাইর গুদারাঘাট এলাকায়। প্রায় ৬ বছর পুর্বে ফতুল্লা থানা পুলিশের কাছে প্রায় ২ হাজার ৪ শত বোতল ফেন্সিডিলসহ গ্রেপ্তার হয়েছিলেন তিনি। এছাড়াও থানায় তার নামে একাধিক মাদক মামলা রয়েছে। সবসময় নিজের সাথে একটি চাকু রাখতেন বলে এলাকায় চাকু রাসেল হিসেবেও অনেকেই তাকে চিনেন।

স্থানীয় কাপড়ের ব্যবসায়ী এনাম মিয়া জানান, রাসেল সব সময় অস্ত্র নিয়ে ঘুরে। সে মূলত সাবেক ছাত্রদল নেতা জাকির খানের সমর্থক ও কর্মী। এলাকায় মাদক ব্যবসা, জুয়া ও চাঁদাবাজি সিন্ডিকেটের নেতৃত্বে থাকে এই রাসেল। তার প্রভাব দেখানোর জন্যই ওইদিন বাস টার্মিনালে অস্ত্র হাতে গুলি করেছিলো।

নারায়ণগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি নজরুল ইসলাম বলেন, রাসেলকে গ্রেপ্তারের জন্য আমাদের থানা পুলিশের পাশাপাশি ডিবি ও র‍্যাব অভিযান পরিচালনা করছে। সে যার লোকই হোক না কেনো আমরা ছাড় দিবো না।