সারা বাংলা

নানা সমস্যায় জর্জরিত পর্যটনকেন্দ্র কুয়াকাটা

আজ ২৭ সেপ্টেম্বর বিশ্ব পর্যটন দিবস। এ দিবস ঘিরে নানা আয়োজন থাকলেও এখনো কুয়াকাটা সৈকতের ভাঙন রোধ, পরিবেশ রক্ষা ও মহাসড়কের ভগ্ন দশা সংস্কারে নেওয়া হয়নি স্থায়ী কোনো উদ্যোগ। দ্রুত সময়ের মধ্যে নানা সমস্যায় জর্জরিত কুয়াকাটা পর্যটন শিল্পের সব সমস্যা সমাধানের দাবি জানিয়েছেন পর্যটকসহ স্থানীয়রা।

কুয়াকাটা সৈকতের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও সাগরের বড় বড় ঢেউয়ের মোহনীয় গর্জন মুগ্ধ করে সবাইকে। বছরে কয়েক লাখ পর্যটকের আগমন ঘটে এই সৈকতে। তবে বর্ষা মৌসুমে তীব্র ভাঙনের ফলে ছোট হয়ে আসছে সৈকতের প্রস্থ। তীব্র ভাঙনের হুমকিতে রয়েছে মসজিদ, মন্দির ও ট্যুরিস্ট স্পট-সহ দোকানপাট।

ভাঙন ঠেকাতে পানি উন্নয়ন বোর্ড সৈকতে কয়েকদফা অস্থায়ী ভিত্তিতে বালু ভর্তি জিও ব্যাগ ফেললেও তা এখন গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে। জিও ব্যাগ শ্যাওলা যুক্ত হয়ে য়াওয়ায় প্রায়শই দুর্ঘনার শিকার হচ্ছেন পর্যটকরা। এ ছাড়া যত্রতত্র ময়লা আবর্জনা ফেলায় দূষিত হচ্ছে পরিবেশ। এদিকে পাখিমারা থেকে আলীপুর ১১ কিলোমিটার সড়কের ভগ্নদশার কারণে বিরক্ত পর্যটকরা।

ঢাকার কাকরাইল থেকে আসা পর্যটক ইসমাইল হোসেন বলেন, ‘এই সড়কের বিভিন্ন স্থানে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এখানে আমরা বন্ধুরা মিলে এসেছি। রাস্তার কারণে আমরা এখন অসুস্থবোধ করছি।’

খুলনা থেকে আসা পর্যটন যোবায়ের হোসেন বলেন, ‘আগেও একবার কুয়াকাটা এসেছিলাম। তখন বিচের প্রস্থ অনেক বড় ছিল। এখন ভাঙনের ফলে একেবারে ছোট হয়ে গেছে। এ ছাড়া যে যার মতো ময়লা আবর্জনা ফেলায় বিভিন্ন স্থান থেকে দুর্গন্ধ ভেসে আসে। এতে সমুদ্রপাড়ের আনন্দ মাটি হয়ে যায়।’

পটুয়াখালী সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী জামির আক্তার লিমন জানান, নভেম্বরের মধ্যে সড়ক সংস্কারের কাজ সম্পন্ন হবে।

পটুয়াখালী পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফুল ইসলাম বলেন, ‘সৈকতের ভাঙন রোধে স্থায়ী সমাধানে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। আমরা একটা প্লান দিয়েছি। এটি অনুমোদন পেলে ভাঙন রোধে স্থায়ী পদক্ষেপ গ্রহণ করা যাবে।’

পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক আবু হাসনাত মোহাম্মদ আরেফিন বলেন, ‘বিশ্ব পর্যটন দিবস উপলক্ষে আমরা শোভাযাত্রা ও আলোচনা সভার নানা আয়োজন করেছি। আলোচনা সভায় কুয়াকাটার সমস্যা ও সম্ভাবনা নিয়ে কথা হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে কুয়াকাটার সকল সমস্যা সমাধানে আমরা কাজ করব।’