সারা বাংলা

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ছানামুখী পেল জিআই স্বীকৃতি

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ছানামুখী জিওগ্রাফিক্যাল আইডেন্টিফিকেশন-জিআই বা ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্যের স্বীকৃতি পেয়েছে। রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. সাইফুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে, গত ২৪ সেপ্টেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসনের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এই মিষ্টান্ন জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি পায়। শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন প্রতিষ্ঠান পেটেন্ট, ডিজাইন ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তর (ডিপিডিটি) বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, ছানামুখী জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। সরকারিভাবে ছানামুখীকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ব্র্যান্ডিংয়ের আওতায় আনা হয়েছে।

জানা যায়, ব্রিটিশ আমলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ছানামুখীর উৎপত্তি। এক কেজি ছানামুখী তৈরিতে গাভীর সাত-আট লিটার দুধের প্রয়োজন হয়।

জেলা শহরের আদর্শ মাতৃ ভান্ডারের মালিক রাখাল মোদাকের ছেলে দুলাল চন্দ্র মোদাক বলেন, সাত-আট লিটার দুধের সঙ্গে এক কেজি চিনি দিয়ে তৈরি হয় এক কেজি ছানামুখী। ছানামুখী তৈরির কয়েকটি ধাপ রয়েছে। প্রথমে গাভীর দুধ জ্বাল দিতে হয়। এরপর গরম দুধ ঠান্ডা করে ছানায় পরিণত করতে হয়। অতিরিক্ত পানি ঝরে যাওয়ার পর একটি পরিচ্ছন্ন টুকরিতে ছানা রাখতে হয়। পরে ওই ছানাকে কাপড়ে বেঁধে ঝুলিয়ে রাখতে হয়। যাতে সব পানি ঝরে যায়। এভাবে দীর্ঘক্ষণ ঝুলিয়ে রাখলে ছানা শক্ত হয়। শক্ত ছানাকে ছুরি দিয়ে ছোট ছোট করে কাটতে হয়। এরপর চুলায় একটি কড়াই বসিয়ে তাতে পানি, চিনি ও এলাচি দিয়ে ফুটিয়ে শিরা তৈরি করতে হয়। এরপর ছানার টুকরাগুলো চিনির শিরায় ছেড়ে নাড়তে হয়। সব শেষে চিনির শিরা থেকে ছানার টুকরাগুলো তুলে একটি বড় পাত্রে রাখতে হয়। ওই পাত্রকে খোলা জায়গা বা পাখার নিচে রেখে নেড়ে শুকাতে হয়। এভাবেই প্রস্তুত করা হয় ছানামুখী।

তিনি আরও বলেন, ছানামুখী জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়া মানেই জেলার জন্য সম্মানজনক সংবাদ। আমরা খুশি। অনেকদিন ধরে চেষ্টা করে যাচ্ছিলাম।