সারা বাংলা

ফুরোমন পাহাড় ভ্রমণ করলেন এভারেস্ট জয়ী বাবর আলী

পার্বত্য জেলা রাঙামাটির ফুরোমন পাহাড় ভ্রমণ করলেন এভারেস্ট জয়ী বাবর আলী। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) সকালে বাবর আলী প্রথম বারের মতো রাঙামাটির সুউচ্চ ফুরোমন পাহাড় ভ্রমণ করেন। এসময় তার সফর সঙ্গী ছিলেন রাঙামাটি এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী আহমদ শফি, রাঙামাটি সদর উপজেলা প্রকৌশলী প্রনব রায় চৌধুরী।

শুক্রবার সকাল ৯টা ২০ মিনিটি রাঙামাটির সাপছড়ি থেকে তিনি ফুরোমন পাহাড়ের উদ্দেশ্যে পায়ে হেটে যাত্রা শুরু করেন। দীর্ঘ আড়াই ঘণ্টা পর দুপুর ১২টায় বাবর আলী ১৫১৮ ফুট দৈর্ঘ্য সুউচ্চ ফুরোমন পাহাড়ে গিয়ে পৌঁছান। 

বাবর আলীর সফরসঙ্গী এলজিইডি সদর উপজেলা প্রকৌশলী প্রণব রায় চৌধুরী বলেন, “চট্টগ্রামের কৃতি সন্তান বাবর আলী হচ্ছেন বাংলাদেশের গর্ব। তিনি এভারেস্ট জয় করে সারা বাংলাদেশের জন্য সুনাম বয়ে এনেছেন। ফুরোমন পাহাড় ভ্রমণে তার সঙ্গী হতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করছি।”

রাঙামাটি এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী আহমদ শফি বলেন, “এভারেস্ট বিজয়ী বাবরকে নিয়ে রাঙামাটি শহরের কাছে সর্বোচ্চ পাহাড় পায়ে হেঁটে উঠতে পেরে নিজেকে নিয়ে গর্ববোধ করছি। বাবর একজন জাতীয় হিরো, তার সাথে সারাদিন কাটানো সময় গর্বের “

এদিকে ফুরোমন পাহাড় ভ্রমণ করে এভারেস্ট জয়ী বাবর আলী বলেন, “এই পাহাড়ের চারপাশ খুবই দারুণ। এখানকার যে হেলিপ্যাড রয়েছে তা থেকে ৩৬০ ডিগ্রী ভিউ দেখা যায়। এখানে দাঁড়ালে রাঙামাটি শহর এবং কাপ্তাই লেক এবং সবুজ পাহাড়ের সৌন্দর্য উপভোগ করা যায়।” 

তিনি আরও বলেন, “এখানে একটি বৌদ্ধ মন্দিরও আছে। যারা ফুরোমন ভ্রমণে আসবেন তাদের উদ্দেশ্যে বলবো যেহেতু একটি তীর্থ কেন্দ্র রয়েছে। ধর্মীয় ভাব-গাম্ভীর্যতা যাতে রক্ষা হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হকে সকলকে। সেভাবে চলাফেরা করতে হবে অন্যের ক্ষতির কারণ যাতে না হয়।” 

বাবর আলী নতুন প্রজন্মদের উদ্দেশ্যে বলেন, “যারা পাহাড়-পর্বত ভ্রমণে আগ্রহী আছেন তাদেরকে সবার আগে দেশের পাহাড় দিয়ে হাতেখড়ি নয় পায়েখড়ি শুরু হোক। আর ধীরে ধীরে অভিজ্ঞতা সঞ্চয় হলে হিমালয়ের নানান পাহাড়ে যেতে পারবে।” 

উল্লেখ্য, বাংলাদেশী পর্বতারোহী, পরিব্রাজক ও চিকিৎসক চট্টগ্রামের কৃতি সন্তান বাবর আলী। যিনি ৬ষ্ঠ বাংলাদেশী হিসেবে এভারেস্ট পর্বত জয় করেছেন। ২০২৪ সালের ১৯ মে বাংলাদেশ সময় সকাল সাড়ে ৮টার দিকে তিনি এভারেস্ট পর্বত জয় করেন।