সারা বাংলা

পটুয়াখালীর কৃষক বাজারে গরুর মাংসের কম্বো প্যাকেজ

পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় চাঙ্গা হচ্ছে কৃষক বাজার। খাজনা ছাড়া নিজেদের উৎপাদিত বিভিন্ন ধরনের শাক-সবজি কৃষকরা সরাসরি এই বাজারে ন্যায্যমূল্যে ক্রেতাদের কাছে বিক্রির সুযোগ পাচ্ছেন। অন্য বাজার থেকে দাম কিছুটা কম হওয়ায় পণ্য কিনতে পেরে খুশি ক্রেতারা। 

এবার এই বাজারে গরুর মাংসের কম্বো প্যাকেজ চালু হয়েছে। মাত্র ২০০ টাকার মধ্যে ২০০ গ্রাম গরুর মাংস, কাঁচা মরিচ, পেঁয়াজ ও আলু একসঙ্গে কিনতে পেরেছেন ক্রেতারা। শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) সকালে এই কম্বো প্যাকেজটি চালু হয়। 

জানা গেছে, গত শনিবার (২৩ নভেম্বর) কলাপাড়ায় উপজেলা প্রশাসন ও ‘আমরা কলাপাড়াবাসী’ নামে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের আয়োজনে কৃষক বাজারটি চালু হয়। আজ সকালে এ বাজারে চালু করা হয়েছে গরুর মাংসের কম্বো প্যাকেজ। এ কম্বো প্যাকেজে ২০০ গ্রাম গরুর মাংস, তিন পিস আলু, তিন পিছ পেঁয়াজ ও তিন পিস কাচা মরিচের মূল্য নির্ধারন করা হয়েছে ২০০ টাকা। ৫০০ গ্রাম গরুর মাংসের মূল্য নির্ধারন করা হয়েছে ৩২৫ টাকা। পৌর শহরে এ বাজারটি চালু করার পরই সারা ফেলে পুরো জেলা জুড়ে। খাজনা বিহীন এ বাজারে পণ্য ক্রয়-বিক্রয় করতে পেরে উচ্ছ্বসিত ক্রেতা-বিক্রেতারা। আয়োজকদের সাধুবাদ জানিয়েছেন উপজেলাবাসী।

কলাপাড়া পৌর শহরের রিকশাচালক স্বপন মিয়া বলেন, “নতুন এই বাজারে ২০০ গ্রাম গরুর মাংস বিক্রি হয়। আমাদের তো এক কেজি গরুর মাংস কিনে খাওয়ার ক্ষমতা নেই। তাই এই বাজার থেকে ২০০ টাকায় একটি প্যাকেজ কিনেছি। যারা আয়োজন করেছেন তাদের ধন্যবাদ জানাই।” 

নীলগঞ্জ ইউনিয়নের কৃষক সুলতান মিয়া বলেন, “এ বাজারে কোনো খাজনা বা অতিরিক্ত খরচ নেই। তাই গত সপ্তাহ থেকেই উৎপাদিত কৃষি পণ্য এই বাজারে এনে বিক্রি করছি। খাজনা ছাড়া উৎপাদিত সবজি বিক্রি করতে পেরে আমি অনেক আনন্দিত। প্রশাসনসহ যারা এই বাজারে আয়োজন করছেন তাদেরকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাই।”

আমরা কলাপাড়াবাসী স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক নাজমুস সাকিব বলেন, “সাধারণ মানুষের স্বস্তি দিতেই আমাদের এই আয়োজন। শুরু থেকেই সাড়া পাচ্ছি। আজ কম্বো প্যাকেজ চালু করার পর ক্রেতাদের ভিড় অনেক বেশি বেড়েছে।” 

কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএননও) রবিউল ইসলাম বলেন, “প্রতিটি নিত্যপণ্যের দাম বেশি। তাই সাধারণ মানুষের কথা চিন্তা করে কৃষক বাজার চালু করা হয়েছে। এখানে গরুর মাংসের কম্বো প্যাকেজ চালু করা হয়েছে। আশা করছি, ক্রেতা ও বিক্রেতাদের মধ্যে কিছুটা হলেও স্বস্তি ফিরে আসবে।”