সারা বাংলা

ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার ধাক্কায় প্রাণ গেল ব্র্যাককর্মীর

ফেনীর ছাগলনাইয়ায় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার সাথে ধাক্কা খেয়ে কামরুজ্জামান (৩২) নামে একজন এনজিও কর্মী মারা গেছেন। 

শনিবার (৩০ নভেম্বর)  রাত ১০ টার দিকে ছাগলনাইয়া পৌর এলাকার শহীদ মিনার সংলগ্ন স্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটে। 

নিহত কামরুজ্জামান নোয়াখালী জেলা চাটখিল উপজেলার মো. নুরুজ্জামানের ছেলে। গত দুইমাস ধরে ব্র্যাকের দুর্যোগ ও ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা কর্মসূচির মনিটরিং কর্মকর্তা হিসেবে কাজ করছিলেন তিনি। 

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, শনিবার রাত ১০ টার দিকে অফিস থেকে বাসায় যাওয়ার পথে ছাগলনাইয়া শহীদ মিনার এলাকায় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা কামরুজ্জামানকে ধাক্কা দেয়। স্থানীয় লোকজন তাকে প্রথমে ছাগলনাইয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ফেনী জেনারেল হাসপাতালে নেওয়ার পরামর্শ দেন। পরে ফেনী জেনারেল হাসপাতাল থেকে ঢাকায় নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। 

ব্র্যাকের ফেনী জেলা সময়ন্বকারী শফিউল আজম বলেন, “স্থানীয় লোকজন কামরুজ্জানের আইডি কার্ড দেখে নিশ্চিত হন তিনি ব্র্যাকের কর্মী। খবর পেয়ে আমরা তাকে ছাগলনাইয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে ফেনী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাই। শরীরে কোন আঘাতের চিহ্ন না থাকলেও মাথার সামনের অংশ ফুলা দেখে চিকিৎসক ধারণা করেন তার হেড ইনজুরি হয়েছে। পরে তার পরিবারের সাথে কথা বলে ঢাকায় নেওয়ার জন্য অ্যাম্বুলেন্সে তোলা হয়। হাসপাতাল থেকে বের হওয়ার সময় হঠাৎ তার নড়াচড়া বন্ধ হয়ে যায়।  তাৎক্ষণিক একটি বেসরকারি হাসপাতালে ইসিজি করা হলে তারা ঢাকায় না নিয়ে রিপোর্টসহ আবারও সরকারি হাসপাতালে যেতে বলেন। ইসিজি রিপোর্টসহ পুনরায় ফেনী জেনারেল হাসপাতালে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।” 

ফেনী জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. মো. রায়হান উদ্দিন বলেন, “ধারণা করা হচ্ছে, তিনি মাথায় অভ্যন্তরীণ আঘাত পেয়েছেন। তাকে প্রথমে যখন হাসপাতালে আনা হয়েছে তখনও তার পেশার আপ-ডাউন করছিল। রোগীর লোকজন তাকে ঢাকায় নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলে তাকে ঢাকায় রেফার্ড করা হয়। এরপর রাত সাড়ে ১১ টার দিকে পূনরায় ইসিজি রিপোর্টসহ যখন আনা হয় ততক্ষণে তিনি মারা গেছেন। বিষয়টি থানায় জানানো হয়েছে তারাই পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নেবেন৷” 

ফেনী মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ওলী আহাদ বলেন, ”হাসপাতাল থেকে সংবাদ পেয়ে নিহতের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে। মরদেহ হাসপাতালের মর্গে আছে। নিহতের পরিবারের লোকজনকে খবর দেওয়া হয়েছে তারা এলে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে৷”