লক্ষ্মীপুরে ট্রাক-সিএনজি মুখোমুখি সংঘর্ষে আলমগীর হোসেন (৫৫) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় দুই শিক্ষার্থীসহ আরো ৬ জন আহত হয়েছেন। রবিবার (১ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে লক্ষ্মীপুর-রামগতি সড়কের সদর উপজেলার ভবানীগঞ্জ এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত আলমগীর হোসেন রামগতি উপজেলার চরআফজাল এলাকার মৃত সেকান্তর আলী পণ্ডিতের ছেলে।
আহতরা হলেন- কাজী ফারুকী স্কুল অ্যান্ড কলেজের দুই শিক্ষার্থী হাসান আহমেদ ও তার বোন, সিএনজি চালক ফেরদৌস আলম, এক নারী ও এক শিশু। এদের মধ্যে শিক্ষার্থী হাসান আহমেদ ও সিএনজি চালকের অবস্থায় আশঙ্কাজনক। হাসান আহমেদকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। সিএনজি চালক ফেরদৌস আলমসহ অন্যরা সদর হাসপাতাল ও প্রাইভেট ক্লিনিকে ভর্তি রয়েছেন।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, রবিবার সকালে চর আলেকজান্ডার থেকে আলমগীর হোসেনসহ অন্যরা সিএনজি যোগে লক্ষ্মীপুরের উদ্দেশ্য রওয়ানা হয়েছে। সিএনজিটি লক্ষ্মীপুর-রামগতি সড়কের ভবানীগঞ্জ এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে দ্রুত গতিতে ছেড়ে আসা ট্রাকের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এ সময় ঘটনাস্থলে মারা যান আলমগীর হোসেন।
নিহত আলমগীর হোসেন সকালে লক্ষ্মীপুর আদালতে একটি মামলায় হাজিরা দিতে বাড়ির থেকে বের হন। অপরদিকে হাসান আহমেদ ও তার বোন কলেজের উদ্দেশ্যেই রওনা হয়ে এ দুর্ঘটনার শিকার হন। পরে নিহতের লাশ উদ্ধার করে সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়। আহতদের সদর হাসপাতালে ভর্তি করার পর অবস্থার অবনতি হওয়ায় হাসান আহমেদকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
সদর হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. একে আজাদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, “হাসপাতালে নেয়ার আগে আলমগীর হোসেন মারা যান। এছাড়া আহতদের মধ্যে দুইজনের অবস্থায় আশঙ্কাজনক। এর মধ্যে শিক্ষার্থী হাসান আহমেদকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।”
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আবদুল মোন্নাফ বলেন, “যেহেতু এটি একটি দুর্ঘটনা। তাই ময়নাতদন্ত ছাড়াই নিহত আলমগীর হোসেনের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। ট্রাকচালকে আটকের চেষ্টা চলছে। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”