সারা বাংলা

ঝিনাইদহে বিএনপির ২ পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ১০

ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডু উপজেলায় বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে একজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে।

শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) বিকেল ৪টার দিকে উপজেলার হরিশপুর গ্রামের লালন বাজার এলাকায় সংঘর্ষটি হয়। 

হরিণাকুণ্ডু থানার ওসি এমএ রউফ খান বলেন, “খবর পেয়ে আমি ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনি। বর্তমানে ওই এলাকার অবস্থা স্বাভাবিক আছে।”

আহতরা হলেন- হরিশপুর গ্রামের রবিউল ইসলামের ছেলে আলামিন হোসেন (৩২), আশান মন্ডলের ছেলে মন্টু মন্ডল (৪৩), জেলা বিএনপির যুগ্ম-সম্পাদক আফাঙ্গীর বিশ্বাস (৪৬) ও পার্বতীপুর গ্রামের নুপুর মন্ডলের ছেলে বাপ্পী হোসেনসহ ১০ জন। এদের মধ্যে আফাঙ্গীর বিশ্বাস জেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাড. এম এ মজিদের অনুসারী এবং অন্যরা সাবেক সাংসদ সদস্য মসিউর রহমানের ছেলে ও জেলা বিএনপির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক বাবুর অনুসারী বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসী।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে লালন বাজার এলাকায় সাবেক সংসদ সদস্য প্রয়াত মসিউর রহমানের অনুসারীদের কর্মীসভা চলছিল। সেখানে মসিউর রহমানের ছেলে ও জেলা বিএনপির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. ইব্রাহিম রহমান উপস্থিত ছিলেন। একই সময়ে পাশের জটারখালি বাজার এলাকায় সভা করছিল জেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট এম এ মজিদ সমর্থক ইউনিয়ন বিএনপির নেতাকর্মীদের। সেখানে দলটির জেলা কমিটির যুগ্ম-সম্পাদক আফাঙ্গীর হোসেন এবং উপজেলা কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট রিয়াজুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।

পাশাপাশি দুই পক্ষের সভা কেন্দ্র করে নেতাকর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। এক পর্যায়ে তারা সংঘর্ষে জড়ান। উভয়পক্ষ লাঠি নিয়ে একে অপরের ওপর হামলা চালায়। এতে অন্তত ১০ জন আহত হন।

ডা. ইব্রাহিম রহমান বাবু অভিযোগ করেন, লালন বাজার এলাকায় তাদের কর্মীসভা চলছিল। তখন সেখানে দেশীয় অস্ত্র ও লাঠি নিয়ে হামলা চালায় মজিদ সমর্থকরা। এ সময় তাদের লোকজনকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে আহত করা হয়। তাদের সভাস্থলের মঞ্চ ও চেয়ার ভাঙচুর করা হয়েছে। 

অভিযোগ অস্বীকার করে জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক আফাঙ্গীর হোসেন বলেন, ওই এলাকায় আওয়ামী লীগের লোকজন নিয়ে সভা করছিল প্রতিপক্ষরা। এ নিয়ে একটু উত্তেজনা দেখা দিয়েছিল। আমি সেটি সামাল দিতে গেলে তারা আমার ওপর আক্রমণ করে।

হরিণাকুণ্ডু হাসপাতালের চিকিৎসক তরিকুল ইসলাম বলেন, “হাসপাতালে আসা চারজনের মধ্যে দুই জনকে ভর্তি করা হয়েছিল। তাদের মধ্যে একজনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে ঢাকায় রেফার্ড করা হয়েছে। তার মাথার পেছনে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। বাকি দুই জনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।”