যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্ট তাইওয়ানের কাছে এফ-১৬ যুদ্ধবিমান এবং এবং রাডার সিস্টেমের খুচরা যন্ত্রাংশ বিক্রির জন্য ৩২০ মিলিয়ন ডলার মূল্যের একটি চুক্তির অনুমোদন দিয়েছে। মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তর পেন্টাগন স্থানীয় সময় শুক্রবার এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
শনিবার (৩০ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চীনের ক্রমাগত ক্ষোভের মধ্যেই এবং যুক্তরাষ্ট্র ও তাইওয়ানের মধ্যে আনুষ্ঠানিক কূটনৈতিক সম্পর্ক না থাকা সত্ত্বেও তাইপেকে আত্মরক্ষার উপায় সরবরাহ করছে ওয়াশিংটন।
চীন তাইওয়ানকে নিজেদের ভূখণ্ডের অংশ বলে মনে করে থাকে। তবে গণতান্ত্রিকভাবে শাসিত তাইওয়ান চীনের সার্বভৌমত্বের দাবি প্রত্যাখ্যান করা আসছে।
চীন তাইওয়ানের বিরুদ্ধে সামরিক চাপ বাড়াচ্ছে। এই বছর দুই দফা সামরিক মহড়া করেছে।
তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট লাই চিং সংবেদনশীল প্রশান্ত মহাসাগরীয় সফর শুরু করার একদিন আগে পেন্টাগন তাইওয়ানকে সামরিক সহায়তার এই ঘোষণা দিলো।
একটি নিরাপত্তা সূত্র রয়টার্সকে বলেছে, তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সফরের সময় মার্কিন অঞ্চল হাওয়াই ও গুয়ামে যাত্রাবিরতি নিবেন। হাওয়াই ও গুয়ামে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সামরিক ঘাঁটি রয়েছে।
পেন্টাগনের ডিফেন্স সিকিউরিটি কো-অপারেশন এজেন্সি বলেছে, এই বিক্রয়ে ৩২০ মিলিয়ন ডলার মল্যের খুচরা যন্ত্রাংশ, এফ-১৬ যুদ্ধবিমান এবং সক্রিয় বৈদ্যুতিকভাবে স্ক্যান করা অ্যারে রাডার ও এ সম্পর্কিত সরঞ্জামগুলোর জন্য সহায়তা রয়েছে।
তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় আশা করছে, এক মাসের মধ্যে বিক্রির সকল কর্যক্রম শেষ হবে। সরঞ্জামগুলো এফ-১৬ নৌবহরের প্রস্তুতি বজায় রাখতে এবং একটি বিশ্বাসযোগ্য প্রতিরক্ষা বাহিনী গড়ে তুলতে সহায়তা করবে।
এক বিবৃতিতে তারা আরো বলেছে, ‘তাইওয়ান ও মাক্তরাষ্ট্র তাদের নিরাপত্তা অংশীদারিত্ব জোরদার করা অব্যাহত রাখবে। এ ছাড়া তাইওয়ান প্রণালী এবং ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে একসঙ্গে কাজ করবে।
গত মাসে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তাইওয়ানের কাছে ২ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র বিক্রির প্যাকেজ ঘোষণা করেছে। যার মধ্যে প্রথমবারের মতো ইউক্রেনে পরীক্ষিত একটি উন্নত বিমান প্রতিরক্ষা ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহ করা হয়।
চীন শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রকে তাইওয়ানের সঙ্গে তার সম্পর্কের ক্ষেত্রে ‘সর্বোচ্চ সতর্কতা’ বজায় রাখার আহ্বান জানিয়েছে।
মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্ট বলেছে, এই সফরের সময় লাই ব্যক্তিগত এবং অনানুষ্ঠানিকভাবে যুক্তরাষ্ট্রে যাত্রাবিরতি দিবেন, বিষয়টিকে উস্কানির অজুহাত হিসেবে ব্যবহার করার কোনো যৌক্তিকতা দেখা যাচ্ছে না।