মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াত নেতা এটিএম আজহারুল ইসলামের রিভিউ আবেদন শুনানির জন্য নিয়মিত আদালত উপস্থাপন করতে বলেছেন ভার্চুয়াল আপিল বিভাগ।
সোমবার (২০ জুলাই) অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম রিভিউ আবেদনটি শুনানির জন্য উপস্থাপন করলে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন ভার্চুয়াল আপিল বিভাগ এই আদেশ দেন।
আপিল বিভাগ নিয়মিত আদালত চালুর পর আজহারের রিভিউ আবেদনটি শুনানির জন্য উপস্থাপন করতে বলেন।
এর আগে গত ১৯ জুলাই মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম আজহারুল ইসলাম মৃত্যুদণ্ড থেকে খালাস চেয়ে রিভিউ আবেদন দাখিল করেন।
আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় আজহারের আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির এ আবেদন দাখিল করেন।
আইনজীবী শিশির মনির বলেন, ২৩ পৃষ্ঠার রিভিউ আবেদনে ফাঁসির দণ্ড থেকে খালাস চেয়ে ১৪টি যুক্তি দেখানো হয়েছে।
গত ২৫ মার্চ মানবতাবিরোধী অপরাধে জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম আজহারুল ইসলামের মৃত্যুদণ্ড বহালের রায় প্রকাশ করেন আপিল বিভাগ।
রায় প্রকাশের পর মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার আসামিরা রিভিউ করার জন্য ১৫ দিন সময় পেয়ে থাকেন। কিন্তু করোনার কারণে নিয়মিত আদালত বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এতদিন রিভিউ করতে পারেননি এটিএম আজহার। আজ তামাদি আইনে রিভিউ করার সুযোগ সুযোগ পেলেন এই জামায়াত নেতা।
গত বছরের ৩১ অক্টোবর জামায়াত নেতা এটিএম আজহারুল ইসলামকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের দেওয়া মৃত্যুদণ্ডাদেশ বহাল রাখেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।
প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ নেতৃত্বাধীন চার বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
২০১৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের দেওয়া রায়ে ২ নম্বর, ৩ নম্বর এবং ৪ নম্বর অভিযোগে ফাঁসির দণ্ডাদেশ পেয়েছেন আজহার। এছাড়া ৫ নম্বর অভিযোগে অপহরণ, নির্যাতন, ধর্ষণসহ অমানবিক অপরাধের দায়ে ২৫ বছর ও ৬ নম্বর অভিযোগে নির্যাতনের দায়ে ৫ বছর কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়।
আপিল বিভাগের রায়ে ২,৩,৪ (সংখ্যাগরিষ্ঠ মতের ভিত্তিতে) ও ৬ নম্বর অভিযোগের দণ্ড বহাল রাখেন। আর ৫ নম্বর অভিযোগ থেকে তাকে খালাস দেওয়া হয়। পরে এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন এ টি এম আজহারুল ইসলাম।
ঢাকা/মেহেদী/জেডআর