গৃহকর্মী মৃত্যুর জোরে রামপুরার বনশ্রীতে তিনটি গাড়িতে আগুন দিয়েছে বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী।
রোববার (৩১ ডিসেম্বর) সকালে রামপুরা বনশ্রী ডি ব্লকের ৩২ নম্বর বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গেলে রামপুরা থানার ওসিসহ ৩ পুলিশ সদস্য আহত হন। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
রোববার (৩১ ডিসেম্বর) দুপুরে রামপুরা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মশিউর রহমান রাইজিংবিডিকে বলেন, রামপুরা ডি ব্লকের ৪ নং সড়কের ৩২ নম্বর বাসার একটি কাজের মেয়ে মারা যায়। সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ যায়। আসমা বেগম নামের ওই গৃহকর্মীর মরদেহ উদ্ধার করতে গেলে আশপাশের লোকজন জড়ো হয়ে গাড়িতে আগুন ও পুলিশের উপর হামলা করে।
জানা গেছে, রোববার সকাল ৮টায় গৃহকর্মীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে বনশ্রী ই ব্লকের ৪ নম্বর রোডের ৩২ নম্বর বাসার সামনে জড়ো হন স্থানীয় লোকজন। এ সময় তারা পুলিশকে লাশ উদ্ধারে বাধা দেয়। এক পর্যায়ে বিক্ষুব্ধ জনতা ওই বাসার নিচে দাঁড়িয়ে থাকা তিনটি গাড়িতে আগুন দেয়। পুলিশ বাধা দিতে গেলে লোকজন পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে । এতে তিন পুলিশ সদস্য আহত হন।
মৃত গৃহকর্মী দেলোয়ার হোসেনের মেয়ে কানিজ ফাতেমার মিরপুরের বাসায় থাকতেন। কানিজ ফাতেমা তিন দিন আগে গৃহকর্মীকে সঙ্গে নিয়ে বাবার বাড়ি বেড়াতে আসেন। কানিজ ফাতেমার বাবা একজন সাবেক ট্যাক্স কর্মকর্তা। রোববার সকালে ভবন থেকে পড়ে তার মৃত্যু হয় বলে দাবি করেন তারা। তবে তাদের এ দাবি প্রত্যাখ্যান করে স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, তাকে ভবনের ছাদ থেকে ফেলে হত্যা করা হয়েছে।