জাতীয়

পর্যটন দিবসে কক্সবাজারে সায়মনের ব্যতিক্রমী উদ্যোগ

পর্যটন দিবস মানে পর্যটনশহর কক্সবাজারের জন্য উৎসবমুখর একটি মুহূর্ত। দিবসটি ঘিরে এ শহরের পাঁচ শতাধিক হোটেল-মোটেল ও কটেজ কর্তৃপক্ষ ভিন্ন মাত্রায় সাংস্কৃতিক আমেজে মেতে ওঠে। কিন্তু এবার ‘সায়মন বিচ রিসোর্ট’ করেছে ব্যতিক্রমী কিছু। প্রায় ২৫০ জনের রক্তদান কর্মসূচির মাধ্যমে বিশ্ব পর্যটন দিবস উদযাপন করেছে এই আবাসিক প্রতিষ্ঠানটি।

শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রিসোর্টের অভ্যন্তরে রক্তদান কর্মসূচির আয়োজন করে সায়মন কর্তৃপক্ষ। এতে ওই প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারী ছাড়াও পর্যটকরা অংশ নেন। 

রিসোর্টের ফ্রন্ট অফিসের দায়িত্বে থাকা শাহনাজ আক্তার বলেন, ‘আমার রক্তের গ্রুপ এ পজিটিভ। রক্তের গ্রুপ পরীক্ষা করে এই প্রথমবার রক্ত দিলাম। প্রথমে ভয় পেলেও পরে যা ভাবছিলাম তা সত্য হয়নি। পিঁপড়ার কামড়ের মতো হালকা অনুভূতি নিয়ে এক ব্যাগ রক্ত দান করলাম। এখন ভাবছি নিয়মিত রক্তদান করব।’ 

ফ্রন্ট ডেস্কের দায়িত্বে থাকা সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘কোনো রোগীকে রক্ত দিয়ে সহযোগিতার ব্যাপারটি অন্যরকম অনুভূতি। আমার রক্তের গ্রুপ এ নেগেটিভ। এবারসহ দুইবার রক্তদান করলাম। নিজে কর্মরত প্রতিষ্ঠানের কর্মসূচিতে অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে রক্তদান করতে পেরে সবচেয়ে বেশি ভালো লাগছে। সুযোগ হলে নিয়ম অনুযায়ী নিয়মিত রক্তদান করব।’

কক্সবাজার সদর হাসপাতালের ব্লাড ব্যাংকের দায়িত্বরত মেডিকেল অফিসার ডা. রিপন চৌধুরী বলেন, ‘রক্ত বেশিদিন ধরে পড়ে থাকলে নষ্ট হয়ে যায়। তাই এখানে যারা উপস্থিত আছেন, তাদের রক্তগুলো নিয়ে রক্তে দূরারোগ্য ব্যাধি আছে কিনা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে তারপর হাসপাতালে মজুত রাখা হবে। আর রুক্তের গ্রুপ অনুযায়ী নাম-ঠিকানার তালিকা ব্লাড ব্যাংকে টানানো থাকবে। কারো রক্তের প্রয়োজন হলে রক্তের গ্রুপ অনুায়ী সেই তালিকার ব্যক্তিদের সঙ্গে কিংবা ব্লাড ব্যাংক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করলে রক্ত পাওয়া যাবে।’

সায়মন বিচ রিসোর্টের ফুড এন্ড বেভারেজ ম্যানেজার ইমরান হোসেন বলেন, ‘আমাদের দুই শতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারী রক্তদান করছেন। সায়মনের জনবল ছাড়াও অতিথিদের রক্তদান করার সুযোগ রয়েছে। এবারের বিশ্ব পর্যটন দিবসে আমাদের প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে এই কর্মসূচি ছিল ব্যতিক্রমধর্মী। পর্যটন দিবসে রক্তদান করে অনেকে খুশি হয়েছেন। এছাড়াও র‍্যালি, সৈকত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন কর্মসূচির আয়োজন করে সায়মান বিচ রিসোর্ট।’