জাতীয়

আরব আমিরাতে আরও বেশি জনশক্তি নেওয়ার আহ্বান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার

বাংলাদেশ থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতে বেসরকারি নিরাপত্তা খাতসহ বিভিন্ন সেক্টরে আরও বেশি জনশক্তি নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.)। 

রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে সচিবালয়ে তার দপ্তরে বাংলাদেশে নিযুক্ত সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাষ্ট্রদূত আবদুল্লাহ আলী খাসেইফ আলহামুদি সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এ আহ্বান জানান।

সাক্ষাতকালে দুই দেশের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক উন্নয়ন, জনশক্তি রপ্তানি বৃদ্ধি, দূতাবাস এলাকার নিরাপত্তা, ই-ভিসা খাতে কারিগরি সহযোগিতাসহ পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়।

বৈঠকে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘গালফভুক্ত দেশসগুলোর মধ্যে সংযুক্ত আরব আমিরাত বাংলাদেশকে সর্বপ্রথম স্বীকৃতি দেয়। কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের পর থেকে পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে দুই দেশের মধ্যকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক এক অনন্য উচ্চতায় পৌঁছেছে। এ সম্পর্ক শুধু অব্যাহত রাখা নয়, আমরা এটিকে আরও এগিয়ে নিতে চাই।’

মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, ‘বর্তমানে সারা বিশ্বের মধ্যে সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি রেমিট্যান্স আসে।’

বাংলাদেশি কর্মীদের অনেক বেশি দক্ষ ও প্রফেশনাল অভিহিত করে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশিরা সংযুক্ত আরব আমিরাতের ব্যাংকিং, প্রকৌশল খাতসহ বিভিন্ন সেক্টরে দক্ষতা ও সুনামের সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে।’

দূতাবাস এলাকার নিরাপত্তা বিষয়ে রাষ্ট্রদূত জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘নিয়মিত নিরাপত্তা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি সেখানে ব্যাটালিয়ন আনসার নিয়োগ করা হয়েছে।’

রাষ্ট্রদূত সংযুক্ত আরব আমিরাতের বেসরকারি খাতে নিরাপত্তাকর্মীদের চাহিদার বিষয়টি জানালে উপদেষ্টা বাংলাদেশ থেকে এ খাতে ব্যাটালিয়ন আনসার নিয়োগের অনুরোধ করেন। এ বিষয়ে দুই দেশের মধ্যে ঐকমত্য সাপেক্ষে মন্ত্রণালয় পর্যায়ে চুক্তি স্বাক্ষরিত হতে পারে বলে জানান উপদেষ্টা।

রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশে ই-ভিসা চালুর ক্ষেত্রে কারিগরি সহায়তার জন্য সংযুক্ত আরব আমিরাতের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস দেন। উপদেষ্টা এটিকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, ‘এ বিষয়ে দ্রুত পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’

বৈঠকে ঢাকার ইউএই দূতাবাসের ইকোনমিক অ্যানালিস্ট আলতাফ হোসেন ও দূতাবাসের জনসংযোগ কর্মকর্তা আমির হোসেনসহ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।