প্রত্যেক শিশুর শারীরিক ও মানসিক বিকাশে বিশেষ যত্নের প্রয়োজন। এটি শিশুর অধিকার। জাতিসংঘ ঘোষিত শিশু অধিকার সনদেও এর উল্লেখ রয়েছে। কিন্তু নানা কারণে আমাদের সমাজে এর ব্যত্যয় ঘটছে।
বিশ্ব শিশু দিবস আজ। মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ শিশু একাডেমি প্রতিবছর অক্টোবর মাসের প্রথম সোমবার বিশ্ব শিশু দিবস পালন করে থাকে। এবছর দিবসটির প্রতিপাদ্য-‘প্রতিটি শিশুর অধিকার রক্ষা আমাদের অঙ্গীকার’। দিবসটি উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস পৃথক বাণী দিয়েছেন।
বাণীতে রাষ্ট্রপতি বলেন, শিশুরাই পৃথিবীর ভবিষ্যৎ কান্ডারি। সবার জন্য একটি টেকসই, মানবিক ও সুন্দর বিশ্ব গড়তে শিশুদের শারীরিক, মানসিক ও সাংস্কৃতিক বিকাশের বিকল্প নেই। তিনি শিশুদের পরিপূর্ণ বিকাশে সরকারের পাশাপাশি সমাজের সকল স্তরের মানুষকে এগিয়ে আসার আহবান জানিয়েছেন।
বাণীতে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ছাত্র-শ্রমিক-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে গঠিত অন্তর্বর্তী সরকার শিশুর প্রতি বঞ্চনা, শিশুশ্রম, অপুষ্টি ও বাল্যবিবাহসহ অন্যান্য সমস্যা যা শিশুর সঠিক বিকাশের অন্তরায় সেসব চিহ্নিত করে সমাধান করতে বদ্ধপরিকর।
তিনি বলেন, আমি বাংলাদেশসহ বিশ্বের সকল শিশুকে স্নেহ ও ভালোবাসা জানাই। নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণের ঊষালগ্নে বিশ্ব শিশু দিবস পালনের গুরুত্ব নতুন মাত্রায় উপনীত হয়েছে।
ড. ইউনূস বলেন, শিশুরাই সমৃদ্ধ বাংলাদেশের রূপকার। বাংলাদেশকে নতুনভাবে গড়ে তুলতে শিশুদের সুন্দর বিকাশের জন্য গুরুত্ব প্রদান করা আমাদের সকলের দায়িত্ব। তাই শিশুদের শারীরিক, মানসিক ও সাংস্কৃতিক বিকাশে উপযুক্ত পরিবেশ, শিক্ষা, নিরাপত্তা, পুষ্টি ও সুস্থ বিনোদনের বিকল্প নেই।