সিরাজগঞ্জ শহররক্ষা বাঁধে পঞ্চমবারের মতো গত মঙ্গলবার (২৯ জুন) ধসে ১২০ মিটার যমুনা নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। এতে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে সিরাজগঞ্জ শহরবাসী।
১৯৯৭ সালে নির্মিত আড়াই কিলোমিটার বাঁধটির স্থায়িত্ব বলা হয় একশত বছর। তবে পাউবোর গাফলতি ও অবহেলার কারণে বার বার বাঁধে ধস হচ্ছে- এমন অভিযোগ করছেন এলাকাবাসী।
সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ড অফিস সুত্রে জানা যায়, সিরাজগঞ্জ শহরকে যমুনা নদীর ভাঙন থেকে রক্ষায় বঙ্গবন্ধু বহুমুখী যমুনা সেতু প্রকল্পের আওতায় ১৯৯৭ সালে আড়াই কিলোমিটার দীর্ঘ এই শহররক্ষা বাঁধ নির্মাণ করা হয়। ৩৭৫ কোটি টাকা ব্যয়ে দক্ষিণ কোরিয়াভিত্তিক ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান হুন্দাই লিমিটেড বাঁধ নির্মাণ করে। বাঁধটি নির্মাণের পর ১৯৯৭ সালে বাঁধের দায়িত্ব বুঝে নেয় স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ড। একশত বছরের স্থায়িত্ব নির্ধারণ করে নির্মিত এই বাঁধের নিয়মিত পর্যবেক্ষণের জন্য ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান হুন্দাই লিমিটেড পানি উন্নয়ন বোর্ডকে পরামর্শ দেয়।
পানি উন্নয়ন বোর্ড দায়িত্ব নেওয়ার ১২ বছর পর ২০০৯ সালের ১০ জুলাই প্রথমবারের মতো এই বাঁধে ধস নামে। এরপর একই বছরের ১৭ জুলাই দ্বিতীয় দফায় ধসে যায় বাঁধটি। ২০১০ সালের ১৬ জুলাই তৃতীয় দফায় বাঁধে ধস নামে। এরপর ২০১১ সালের ১৮ জুলাই চতুর্থবারের মতো এবং সর্বশেষ গত মঙ্গলবার (২৯ জুন) পঞ্চমবারের মতো বাঁধে ধস নামলো।
বুধবার (৩০ জুন) সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী পরিচালক জাকির হোসেন জানান, বালুভর্তি প্রায় ১০ হাজার জিওব্যাগ ফেলে ভাঙন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করা হচ্ছে।
তিনি আরও জানান, মঙ্গলবার (২৯ জুন) দুপুর থেকে শহররক্ষা বাঁধের পুরাতন জেলখানা ঘাট এলাকায় এ ধস শুরু হয়। দেড় ঘণ্টার মধ্যে বাঁধের প্রায় ১২০ মিটার নদীতে বিলীন হয়ে যায়।
সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোডের্র নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শফিকুল ইসলাম জানান, টানা বর্ষণ ও নদীর পানির তীব্র স্রোতে ঘূর্ণাবতের সৃষ্টি হয়ে বাঁধের নিচ থেকে মাটি সরে সিসি ব্লকগুলো ডেবে গেছে। দুই দিন আগেও এখানে ভালো অবস্থা ছিল। মঙ্গলবার আকস্মিকভাবে এ ধস দেখা দেয়।