ক্রাইস্টচার্চে প্রথম দিনে চাপা পড়ল মাউন্ট মঙ্গানুইয়ে বাংলাদেশের কীর্তি। সবুজ উইকেট দেখে বাংলাদেশ টস জিতে প্রথমে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। কিন্তু তাদের সঙ্গে উইকেট ‘প্রতারণা’ করল। কারণ নিউ জিল্যান্ডের ব্যাটসম্যানরা সবুজ পিচে এতটুকু বিব্রতকর পরিস্থিতির মধ্যে পড়েনি। মাত্র এক উইকেট হারিয়ে ৩৪৯ রান করে চমৎকার দিন কাটাল নিউ জিল্যান্ড।
সকালের সেশনে নিউ জিল্যান্ড অধিনায়ক টম ল্যাথামকে দুইবার এলবিডব্লিউ দেন আম্পায়ার, কিন্তু ডিআরএস নিয়ে দুইবারই সিদ্ধান্ত পাল্টে দেন তিনি। উইল ইয়াং তার ফিফটিকে পুঁজি করে বড় স্কোর করতে পারেননি। পরে ডেভন কনওয়ে মাঠে নামলেন এবং ল্যাথামকে নিয়ে সাবলীল ব্যাটিং করলেন সারাদিন। সেঞ্চুরি থেকে মাত্র এক রান দূরে কনওয়ে, নির্ঘাত নির্ঘুম রাত কাটবে তার।
দ্বিতীয় উইকেটে ল্যাথাম ও কনওয়ে ২০১ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি নিয়ে দিন শেষ করেছেন। তাতে প্রথম ইনিংসে নিউ জিল্যান্ডের সংগ্রহ পাহাড়সম। বাংলাদেশের বোলারদের ভাগ্য সহায় না হলেও কৃতিত্ব দিতে হবে নিউ জিল্যান্ড ব্যাটসম্যানদের, তারা প্রতিপক্ষ বোলারদের খুব একটা সুযোগ দেয়নি। ল্যাথাম ডাবল সেঞ্চুরি করার লক্ষ্য নিয়ে দ্বিতীয় দিন সকাল শুরু করবেন। ১৮৬ রানে অপরাজিত স্বাগতিক অধিনায়ক।
প্রথম উইকেটে ল্যাথাম ও ইয়াং ১৪৮ রানের জুটি গড়েন। ২০১২ সালের পর নিউ জিল্যান্ডে এটিই প্রথম একশ ছাড়ানো উদ্বোধনী জুটি। এই দুটি শক্তিশালী জুটি বলে দেয়, বাংলাদেশ পাত্তা পায়নি। প্রথম দিন ৯০ ওভারে তারা ৪৪ বাউন্ডারি হজম করেছে। মাউন্ট মঙ্গানুইয়ের জয়ের নায়ক ইবাদত হোসেন ২১ ওভারে ছিলেন উইকেটশূন্য, রান দেন ১১৪টি। শরিফুল ইসলাম একমাত্র উইকেট পান, ৫৪ রানে ফেরেন ইয়াং। তাসকিন আহমেদ ও মেহেদী হাসান মিরাজও রান বন্যা পুরোপুরি আটকাতে পারেননি।
বিশেষ করে ল্যাথাম অফ সাইডে ছিলেন দুরন্ত। ২৯ চারের ২১টিই ওই দিক দিয়ে মারেন অধিনায়ক। শেষ সেশনে ১৯৯ বলে ১৫০ করেন তিনি। পরে বাংলাদেশের বিপক্ষে করেন সেরা স্কোর, ২০১৭ সালে ওয়েলিংটনে ১৭৭ রানকে ছাড়ান। এর আগে মাঝের সেশনে ১২তম ও নিজের দ্রুততম টেস্ট সেঞ্চুরি করেন তিনি ১৩৩ বলে। ল্যাথামের এই উদযাপনে স্ট্যান্ট থেকে অংশীদার ছিলেন তার স্ত্রী, ছোট ছেলে ও বাবা।
বাংলাদেশের দুর্ভাগ্যের দিন শুরু হয় টসের আগে। কুচকির চোটে তারা হারায় মুশফিকুর রহিমকে। ১২ বছরেরও বেশি সময় পর মুশফিক, তামিম ইকবাল, সাকিব আল হাসান ও মাহমুদউল্লাহকে ছাড়া টেস্ট খেলতে নেমেছিল বাংলাদেশ।