জয়পুরহাটে দ্বিতীয় দিনের মতো পরিবহন ধর্মঘট চলছে। শুক্রবার (২ ডিসেম্বর) কোনো রুটে বাস ছেড়ে যায়নি। বাহির থেকেও কোনো বাসও জেলায় প্রবেশ করেনি।
গণপরিবহন চলাচল বন্ধ থাকায় সাধারণ যাত্রীরা পড়েছেন দুর্ভোগে। অটোরিকশা বা ছোট বাহনে অনেকে গন্তব্যে পৌঁছাচ্ছেন। তবে, এজন্য গুণতে হচ্ছে বাড়তি ভাড়া। এছাড়া চাপ বেড়েছে ট্রেনে।
আমিনুল ইসলাম নামের এক ব্যবসায়ী বলেন, ‘ব্যবসার কাজে ঢাকা থেকে জয়পুরহাট এসেছিলাম। পরিবহন ধর্মঘটের কারণে এখন ঢাকা যেতে পারছি না।’
সজিব নামের আরেক যাত্রী বলেন, ‘বাসস্ট্যান্ডে এসে দেখি কোনো বাস নাই। কিন্তু জরুরি কাজ বগুড়া যেতেই হবে। তাই বাধ্য হয়ে ১২০ টাকার ভাড়া ৩০০ টাকা দিয়ে যাচ্ছি। সময় ও টাকা দুটোই বেশি লাগছে।’
মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সদস্য হানিফ বলেন, ‘প্রতিদিন কাজ করলে ৫০০-৬০০ টাকা আয় হয়। হঠাৎ গণপরিবহন চলাচল বন্ধ হওয়ায় বিপাকে পড়েছি। কত দিন বন্ধ থাকবে সেটাও জানি না।’
রাজশাহী বিভাগীয় সড়ক পরিবহন মালিক শ্রমিক পরিষদ সাংগঠনিক কমিটির কার্যকরী সভাপতি রফিকুল ইসলাম রফিক বলেন, ‘মহাসড়কে তিন চাকার যান চলাচল বন্ধসহ ১০ দফা দাবিতে বৃহস্পতিবার (১ ডিসেম্বর) সকাল ৬টা থেকে অনির্দিষ্টকালের পরিবহন ধর্মঘট চলছে। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত ধর্মঘট চলবে।’