গণতন্ত্র ও সংবিধান রক্ষার আন্দোলনে জাতীয় পার্টি ধারাবাহিক ভূমিকা রেখেছে দাবি করে দলের চেয়ারম্যান জিএম কাদের বলেন, অন্য রাজনৈতিক দলের মতো তার দলকেও জাতীয় নির্বাচন অংশ নেওয়ার সুযোগ দিতে হবে।
শনিবার (৬ ডিসেম্বর) পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবিধান সংরক্ষণ দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এই কথা বলেন।
তিনি বলেন, “হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ অনেকগুলো রাজনৈতিক দল ও জনগণ আশা আকাঙ্ক্ষায় প্রেক্ষিতে সেইসময় ক্ষমতা গ্রহণ করেছিলেন। তাঁর শাসনামলে দেশে ন্যায় বিচার ও সুশাসন প্রতিষ্টিত হয়েছিল। মানুষ সেই সময় শান্তিতে ছিল। সেই সময় দেশে কোন বিচার বর্হিভূত হত্যাকাণ্ড ঘটেনি। দেশে দুর্নীতি ছিল না। বলা হয়ে থাকে এরশাদ আমলে গণতন্ত্র ছিল না, অথচ পরবর্তীতে গণতান্ত্রিক সরকারের আমলে আমরা দেখলাম একাধিক বার দেশ দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হচ্ছে। দেশে আইনের শাসন নেই দেশের মানুষ ন্যায় বিচার পাচ্ছে না। বিচার বর্হিভূত হত্যাকাণ্ড হচ্ছে প্রতিনিয়ত।”
রাজনৈতিক পরিস্থিতির তুলে ধরে কাদের বলেন, “গণতন্ত্র এবং সংবিধান রক্ষায় জাতীয় পার্টি অতীতে জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণের পাশাপাশি সরকারের অগণতান্ত্রিক কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদে সংসদে এবং সংসদের বাহিরে আন্দোলন সংগ্রাম করে এসেছে। বিগত সংসদে জাতীয় পার্টির পক্ষে আমি সংসদে আওয়ামী সরকারের এক নায়কতন্ত্রের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে তাদেরকে কর্তৃত্ববাদী সরকার বলে আখ্যা দিয়েছি।”
ছাত্রদের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সবার আগে জাতীয় পার্টিই সমর্থন দিয়েছে দাবি করে তিনি বলেন, “জুলাই আন্দোলনে জাতীয় ছাত্র সমাজ ছাত্রদের আন্দোলনের সাথে কাধে কাধ মিলিয়ে রাজপথে ছিল। ছাত্র সমাজের একাধিক নেতা কর্মী পুলিশের গুলিতে আহত হয়েছে, কারাবরণ করেছে। অথচ দুঃখের সাথে আমরা লক্ষ্য করছি যে কতিপয় রাজনৈতিক দল নিজেদের স্বার্থরক্ষার জন্য জাতীয় পার্টিকে স্বৈরাচারীর দোসর আখ্যা দিচ্ছে। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। এর পাশাপাশি সরকারকে আমরা বলতে চাই, গণতন্ত্রকে স্থিতিশীল করার স্বার্থে আপনারা অন্যান্য দলের মতো জাতীয় পার্টিকেও দেশের স্বার্থে, গণতন্ত্রের স্বার্থে, দেশের জনগণের স্বার্থে নির্বাচনের মাঠে অংশগ্রহণের সমান সুযোগ নিশ্চিন্ত করুন।”
প্রেসিডিয়াম সদস্য মীর আবদুস সবুর আসুদের সভাপতিত্বে সংবিধান সংরক্ষণ দিবসের আলোচনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, প্রেসিডিয়াম সদস্য হাজী সাইফুদ্দিন আহমেদ মিলন, শেরীফা কাদের, অ্যাডভোটেক মো. রেজাউল ইসলাম ভূঞা, ইঞ্জিনিয়ার ইকবাল হোসেন তাপস, চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা- মাহমুদুর রহমান মাহমুদ, মো. খলিলুর রহমান খলিল।