শীতকালে ঘাম কম হয়,পানি পিপাসাও কম লাগে। তাই বলে কম পানি পান করা যাবে না। এ সময় শরীরকে সতেজ রাখতে দিনে ২-৩ লিটার পানি পান করা জরুরি। সেক্ষেত্রে ঠান্ডা পানি নাকি কুসুম গরম পানি পান করবেন—সে বিষয়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে হবে। কেননা কেমন পানি পান করছেন, কতটুকু পানি পান করছেন তার ওপর সুস্থতা নির্ভর করে।
ইন্ডিয়া টিভির তথ্য, ‘‘যদি আপনার মাথায় ভারী ভাব বা ব্যথা অনুভূত হয়, তাহলে বুঝতে হবে আপনি কম পানি পান করছেন। শরীরে পানির অভাবের ফলে ক্রমাগত মাথাব্যথা হতে পারে। শরীরে পানির অভাবের কারণে মস্তিষ্কের কোষগুলি সঙ্কুচিত হতে শুরু করে। ইন্ডিয়ান জার্নাল অফ মেডিকেল রিসার্চ অনুসারে, শরীরে পানির অভাব চিন্তাভাবনা এবং বোঝার ক্ষমতাকেও নেতিবাচকভাবে প্রভাবিত করে।’’
ঠান্ডা পানি হজম প্রক্রিয়াকে দুর্বল করে দিতে পারে
ঠান্ডা পানি পানের ঝুঁকি
ঠান্ডা পানি হজম প্রক্রিয়াকে দুর্বল করে দিতে পারে।গলা ব্যথা ও সাইনাস বন্ধ হওয়ার কারণ হতে পারে। অনেকের ক্ষেত্রে ঠান্ডা পানি মাথাব্যথা বাড়াতে পারে। ঠান্ডা পানি হার্টবিট কমাতে পারে, যা হৃদরোগীদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে।
কেমন পানি পান করা উচিত ঠান্ডা আবহাওয়ায় শরীরকে ভেতর থেকে উষ্ণ রাখতে স্বাভাবিক তাপমাত্রার পানি বা হালকা গরম পানি পান করা ভালো।
চিকিৎসকেরা বলেন, ‘‘ঘরের তাপমাত্রার পানি বা হালকা গরম পানি পান করা উত্তম, যা শরীরকে উষ্ণ রাখতে সাহায্য করে এবং ঠান্ডা আবহাওয়ায় পানির চাহিদা পূরণে সহায়ক।’’
কুসুম গরম পানি পানের উপকারিতা কুসুম গরম পানি পান করলে শরীরে জমে থাকা বিষাক্ত পদার্থ বের হয়ে যায়। কিডনি ও লিভারকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। কুসুম গরম পানি রক্ত পরিষ্কার করে এবং রক্তসঞ্চালন বাড়ায়। এটি ত্বকের জন্যও উপকারী, ত্বককে মসৃণ ও উজ্জ্বল করে তোলে।এ ছাড়াও ঠান্ডাজনিত সমস্যা এড়ানো যায়।
উল্লেখ্য, যারা অতিরিক্ত ব্যায়াম করেন, তাদের জন্য ব্যায়ামের পরে শরীর ঠান্ডা রাখতে ঠান্ডা পানি উপকারী হতে পারে।