উত্তরের সীমান্ত জেলা পঞ্চগড়ে শীতের তীব্রতা বাড়তে শুরু করেছে। গত কয়েকদিন ধরে দেশের অন্যসব অঞ্চলের তুলনায় এখানকার তাপমাত্রা দ্রুত হ্রাস পাচ্ছে। রবিবার (৭ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় পঞ্চগড়ে দিনের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বিরাজ করছিল ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে এই তাপমাত্রা রেকর্ড করে। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৯ শতাংশ। এর আগে, গতকাল শনিবার একই সময়ে তাপমাত্রা রেকর্ড হয় ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এদিন দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৬ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আরো পড়ুন: পঞ্চগড়ে মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্রনাথ রায় জানান, পঞ্চগড়ের তাপমাত্রা মৃদু শৈত্যপ্রবাহের ঘরে নেমেছে। কারণ হিসেবে তিনি জানান, তাপমাত্রার পারদ ৮ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে থাকলে সেটিকে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ ধরা হয়। ডিসেম্বরেই তাপমাত্রা আরো কমে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহের সম্ভাবনা রয়েছে।
এদিকে, রাত থেকে সকাল পর্যন্ত ঘন কুয়াশায় ঢেকে থাকছে গ্রামীন জনপদ ও ফসলের ক্ষেত। সকালে কাজে বের হওয়া শ্রমজীবী মানুষরা সবচেয়ে বেশি ভুগছেন। অনেকেই গায়ে অতিরিক্ত কাপড় জড়িয়েও কাজ করতে হিমশিম খাচ্ছেন। তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় শিশু, বয়স্ক ও রোগীদের ওপর প্রভাব বেশি পড়ছে। দরিদ্র পরিবারগুলো শীতবস্ত্রের সংকটে রয়েছেন।
পঞ্চগড়ের জেলা প্রশাসক কাজী মো. সায়েমুজ্জামান বলেন, “শীতে জেলা প্রশাসনের বড় কাজ হলো শীতার্তদের পাশে দাঁড়ানো। পঞ্চগড় জেলা প্রশাসন এই কাজটি নিয়মিত করে যাচ্ছে। এবার দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর থেকে জেলায় ৩০ লাখ টাকা দেওয়া হয়েছে। ৮ হাজার ৬৪০টি কম্বল কিনে পাঁচটি উপজেলার ৪৩টি ইউনিয়নের বিতরণ করা হয়েছে। আরো ৬৫ হাজার কম্বলের চাহিদা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।”