খেলাধুলা

ওয়ালটন অনূর্ধ্ব-১৮ ফুটবল টুর্নামেন্টের ড্র ও লোগো উন্মোচন

ক্রীড়া প্রতিবেদক : প্রিমিয়ার লিগে খেলা ১২টি দলের অনূর্ধ্ব-১৮ বছর বয়সী খেলোয়াড়দের নিয়ে ১২ সেপ্টেম্বর থেকে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে শুরু হতে যাচ্ছে অনূর্ধ্ব-১৮ ফুটবল টুর্নামেন্ট। এবারও এই টুর্নামেন্টের টাইটেল স্পন্সর হিসেবে রয়েছে ক্রীড়াবান্ধব প্রতিষ্ঠান ওয়ালটন গ্রুপ। আজ শনিবার বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সভাকক্ষে ওয়ালটন গ্রুপকে টুর্নামেন্টের টাইটেল স্পন্সর হিসেবে ঘোষণা করা হয়। পাশাপাশি চুক্তি স্বাক্ষর, ড্র ও লোগো উন্মোচন করা হয়।

এবারের এই টুর্নামেন্টের নামকরণ করা হয়েছে ‘ওয়ালটন অনূর্ধ্ব-১৮ ফুটবল টুর্নামেন্ট-২০১৮-১৯’।

শনিবার লোগো উন্মোচন ও ড্র অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাফুফে সিনিয়র সহ-সভাপতি আব্দুস সালাম মুর্শেদী (এমপি), ওয়ালটন গ্রুপের নির্বাহী পরিচালক (গেমস অ্যান্ড স্পোর্টস, মার্কেটিং) এফএম ইকবাল বিন আনোয়ার (ডন), বাফুফে সহ-সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ মহি ও বাফুফের সাধারণ সম্পাদক মো. আবু নাইম সোহাগ ও টুর্নামেন্টে অংশ নিতে যাওয়া ক্লাবগুলোর প্রতিনিধিরা।

প্রিমিয়ার লিগের ১২টি দলের যুব দলকে চারটি গ্রুপে ভাগ করে প্রথম পর্ব রাউন্ড রবিন লিগ পদ্ধতিতে হবে। পরবর্তীতে কোয়ার্টার ফাইনাল, সেমিফাইনাল ও ফাইনাল হবে। ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে শেষ হবে এই টুর্নামেন্ট। টিম বিজেএমসি প্রিমিয়ার লিগে খেললেও অনূর্ধ্ব-১৮ এই টুর্নামেন্টে তারা দল দেয়নি।

ড্রতে টুর্নামেন্টের ‘এ’ গ্রুপে পড়েছে চট্টগ্রাম আবাহনী, ব্রাদার্স ইউনিয়ন ও বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়া চক্র । ‘বি’ গ্রুপে রয়েছে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব, আরামবাগ ক্রীড়া সংঘ ও রহমতগঞ্জ এমএফএস। ‘সি’ গ্রুপে রয়েছে ঢাকা আবাহনী, মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব ও বসুন্ধরা কিংস। আর ‘ডি’ গ্রুপে রয়েছে সাইফ স্পোর্টিং ক্লাব লিমিটেড, শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্র ও নোফেল স্পোর্টিং ক্লাব।

সংবাদ সম্মেলনে আব্দুস সালাম মুর্শেদী বলেন, ‘দ্বিতীয়বারের মতো আমরা বয়সভিত্তিক এই টুর্নামেন্ট আয়োজন করতে যাচ্ছি। এবারও ওয়ালটন আমাদের সঙ্গে আছে। সে জন্য তাদের ধন্যবাদ জানাই। এই টুর্নামেন্টে অনেক ভালো খেলোয়াড়রা অংশ নিবে। তারা নিজেদের সেরাটা দিয়ে খেলবে। যাতে পরবর্তী দল বদলে বিভিন্ন ক্লাবের হয়ে তারা খেলার সুযোগ পায়। আমরা মনে করি এই টুর্নামেন্ট থেকে আমরা ভালো কিছু খেলোয়াড় পাব। আপনারা দেখেছেন প্রিমিয়ার লিগে এবার আমাদের ছেলেরা ভালো খেলেছে। গোল করেছে। সেটার প্রভাব কিন্তু আমাদের জাতীয় দলে পড়েছে। পাশাপাশি বিভিন্ন ক্লাবে বিদেশি খেলোয়াড়রাও ভালো খেলেছে। সেটার প্রভাব আমরা দেখেছি এএফসি কাপে। এবারই প্রথম আমাদের দেশি কোনো ক্লাব সেমিফাইনালে গিয়ে এতো ভালো খেলা উপহার দিয়েছে।’

এফএম ইকবাল বিন আনোয়ার (ডন) বলেন, ‘আমরা গেল কয়েক বছর ধরে এই টুর্নামেন্টের সঙ্গে আছি। বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক অনেক দিনের। ফুটবল ফেডারেশন যখনই আমাদের আমন্ত্রণ জানিয়েছে আমরা চেষ্টা করেছি প্রত্যেকটা টুর্নামেন্টের সঙ্গে থাকতে। আমাদের এই ধারাবাহিকতা ভবিষ্যতেও অব্যহত থাকবে। এই টুর্নামেন্ট থেকে ভালো ভালো কিছু খেলোয়াড় উঠে আসবে বলে আমাদের বিশ্বাস। এই ধরনের যতগুলো টুর্নামেন্ট ফুটবল ফেডারেশন করবে ওয়ালটন পরিবার চেষ্টা করবে সেগুলোর সঙ্গে থাকতে। আমরা দেশের ফুটবল নিয়ে আশাবাদী। ফুটবল আস্তে আস্তে এগিয়ে যাচ্ছে। ফুটবলের জাগরণের এই ধারা অব্যাহত থাকবে বলেই আমরা বিশ্বাস করি।’ রাইজিংবিডি/ঢাকা/৩১ আগস্ট ২০১৯/আমিনুল