ঢাকায় পা রেখে ১২ ঘণ্টারও কম সময় বিশ্রাম নিয়ে কাজ শুরু করেন চন্ডিকা হাথুরুসিংহে। দ্বিতীয় মেয়াদে বাংলাদেশের ড্রেসিংরুমে ফিরে বুঝিয়ে দিচ্ছেন তিনি এখনো কড়া ‘হেড মাস্টার’। কোনো ফাঁকিবাজি চলবে না।
মিরপুর শের-ই-বাংলায় আজ শুক্রবারের কথাই ধরা যাক। দুপুর ১২টা থেকে অনুশীলন শুরু, মাঝে নামাজের বিরতির পর ম্যাচ প্র্যাকটিস। শেষ হয় রাত ৮টা নাগাদ। তাও যেন শেষ হয়েও হলো না শেষ।
১০ ওভার, ৬ ওভার ও ৪ ওভারে নিজের মধ্যে ভাগ হয়ে ৭টি ইনিংস খেলেছেন তামিম ইকবাল-লিটন দাসরা। রাত ৮টা নাগাদ ম্যাচ প্র্যাকটিস শেষে ড্রেসিংরুমের সামনে করতালিতে অনুশীলনের সমাপ্তি ঘটে। এ সময় প্রধান কোচ হাথুরুসিংহ, পেস বোলিং কোচ অ্যালান ডোনাল্ডকে ক্রিকেটারদের বার্তা দিতে দেখা যায়।
এরপর অন্য ক্রিকেটাররা যখন ব্যাগ-পত্র গোছানোয় ব্যস্ত, তখন তামিমসহ ৬ জনকে নিয়ে বৈঠক করেন হাথুরুসিংহে। ড্রেসিংরুমের সামনে এই বৈঠকে হাথুরুসিংহে ছাড়া আর কোনো কোচ ছিলেন না। ওয়ানডে অধিনায়ক ছাড়া বৈঠকে ছিলেন লিটন দাস, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, মুশফিকুর রহিম, মেহেদি হাসান মিরাজ ও নাজমুল হোসেন শান্ত। প্রায় মিনিট দশেক ধরে চলে এই বৈঠক।
অনুশীলনের প্রক্রিয়া দেখলেই বোঝা যায় হাথুরুসিংহে ইংল্যান্ড সিরিজ নিয়ে খুবই সিরিয়াস। ক্রিকেটাররা নিঃশ্বাস ফেলার সুযোগ পাননি। ম্যাচ প্র্যাকটিসে কেউ একবার দ্রুত আউট হলে হাথুরুসিংহে আবার ইশারা দিয়ে ব্যাটিংয়ে পাঠিয়েছেন। শিষ্যদের নিয়ে তার কাজ দেখে বোঝার কোনো উপায় নেই হাথুরুসিংহে এই কদিন ধরে বাংলাদেশের কোচ। এই বৈঠকে হয়তো ঠিক করেছেন ইংলিশবধের রণকৌশল।
এর আগে ম্যাচ প্র্যাকটিস চলাকালীন নির্বাচক হাবিবুল বাশারের সঙ্গে আলাপ করতে দেখা যায় তাকে। তাকে নিয়ে বাশার বলেন, ‘ওরা সবাই পেশাদার। চন্ডিকা কিন্তু বাংলাদেশ সম্পর্কে জানে। অন্য কেউ এলে একদম নতুন করে শুরু করতে হতো। ওই রকম না। সেদিক থেকে সে এক ধাপ এগিয়ে আছে। সে দলটা সম্পর্কে জানে। সংস্কৃতি সম্পর্কে জানে। পরিবেশ সম্পর্কে জানে।’