ঢাকা     মঙ্গলবার   ১৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৩ ১৪৩১

ছোটগল্প || এক কাপ কফি ও একটি সিনেমা

আঁখি সিদ্দিকা || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১০:০১, ১৬ জুলাই ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
ছোটগল্প || এক কাপ কফি ও একটি সিনেমা

|| আঁখি সিদ্দিকা ||
রুপন্তি বাড়ি ফেরার পথে রোজ চন্দ্রমল্লিকা কেনে, আজ কোথাও কেন যে পাচ্ছে না! সেই ধানমন্ডি থেকে শাহাবাগ, কাঁটাবন কোথাও নেই। অদ্ভুত! এ মাসে প্রতিদিন তাকে চন্দ্রমল্লিকা নিয়ে ফিরতে হবে। কেউ তাকে কোনো বাধ্যবাধকতা দেয়নি। আর দেবারই বা কে আছে? এক নাদিরা আপু; তাকে ছেড়ে মনির ভাই চলে গেলো, সেই থেকে নাদিরা আপু রয়ে গেলো। সে শুধু বলবে, পাও নাই, চন্দ্রমল্লিকা?

রাত হয়ে যাচ্ছে। আজ রাতে ডিউটি ছিলো না, তাই ফ্রেন্ডদের সাথে হ্যাংআউট শেষে বাড়ি ফিরতে ফিরতে রাত। এই পেশায় আসার আগে কখনও কেউ কোনো প্রেশার দেয় নি, ও সবসময় বলতো, তোর যা ইচ্ছে তুই তাই কর। কোনো খেয়ালও রাখতো না, আমি কেমন করে বড় হচ্ছি। কেবল ঠিক আর ভুলটা আলাদা করে দেখিয়ে দিতো- ব্যাস এতোটুকুই। তুমুল বন্ধুত্বে কেটে গেছে ওর সাথে  প্রতি মুহূর্ত। বন্ধুত্ব আর বন্ধুত্ব! মাঝে মাঝে অবাক হতে হয়- কেমন করে এমন পারতো!

রবি থেকে বৃহস্পতি এক রুটিন। স্কুলের গাড়ি আসতো দশটা পনেরোতে। ঘুম থেকে বেশ আলসেমি করেই ওঠা। তাতে ওর কিছু যেত-আসতো না। একটাই কথা- তোর ইচ্ছে, তোর জীবন। শুধু আনন্দ নিয়ে যাপন কর। সে নিজেও মর্নিং সিকনেসে ভুগেছে। অফিসে যাওয়ার ঠিক আগ মূহূর্তে ওঠে নাদিরা! গোসলের পানি বলে হাঁক, দৌড়োদৌড়ি করে কখনও নাস্তা খাওয়া, কখনও না খেয়েই দৌড়, বেশির ভাগ সময়েই লাঞ্চ না নিয়ে অফিসে যাওয়া, না খেয়ে থাকা, ভোরে উঠে চা’র সাথে একটা সিগারেট; বলতো রুপন্তি, ধ্যাত ভালো লাগছে না অফিস যেতে, চল আজ রোদে রোদে ঘুরি, আমি বলতাম আমার স্কুল? বলতো ধুর একদিন স্কুলে না গেলে কি হয়, আবার সন্ধ্যায় আকাশে ঘন মেঘ করলে তার কি খুশী, আজ বৃষ্টি হবে ভেবে ছাদে গিয়ে বসে থাকা! বৃষ্টিমশাই সদয় হলে কাকভেজা হয়ে ফিরে কফি মগ নিয়ে সিনেমা দেখতে বসে যাওয়া। বেশ কিছুদিন ধরে ও অফিস থেকে ফিরেই শাওয়ার শেষে ল্যাপটপ নিয়ে বসতো, হাতে এক কাপ কফি। কফিটা প্রায় বিড়ালের ওমের মতো মৃদু ঠান্ডা হয়ে আসা পর্যন্ত চুমুক দিতো না, কফি শেষ হওয়া পর্যন্ত মুভি দেখা। আবার বন্ধ। এরপর গুটিসুটি মেরে ঘুম। আমি খাচ্ছি কিনা, ঘুমুচ্ছি কিনা, পড়ছি কিনা, কি রান্না হচ্ছে কিছুই জানতো না। একটা মুভিই দেখতো। মুভিটার ঠিক এক জায়গায় এলে দেখা বন্ধ করতো, পরের অংশ আর দেখতো না। কখনও জানতে পারি নি, কি মুভি সে দেখছে, ঘরের দরজা বন্ধ। শব্দ নেই। লাইট অফ। অফিস থেকে ফেরার জন্য ছটফট করতো। বাড়ি ফিরে কখনও আমাকে নিয়ে বেরিয়ে পড়তো। ফিরে এসে মুভি। কোথাও বের না হলেও একই রুটিন।

ভীষণ সিগারেট খাওয়া বাড়িয়ে দিয়েছিল। কিছু বললে বলতো, প্লিজ আরেকটা। আর হবে না। তোর আঠারো হলে একসাথে বসে খাবো। আমিও আঠারো হওয়ার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করতাম। আমার আঠারো!

আপা, আপনি কই যাবেন?

হুঁ।

রাত তো বাড়েতেছে? খালি আউলাঝাউলা ঘুরতাছেন!

ওই যে একটু সাত মসজিদের মাথায় চলেন।

ওইখানে ফুলের দোকান এখন কি খোলা পাওয়া যাইবো, হুদাই ঘুরাঘুরি।

হুমম।

যতোসব পাগল ওঠে!

সিনেমাটা আর দেখা হয় নি আমার। ও চলে যাবার পর হোষ্টেলে উঠে যাওয়া, তারপর মেডিকেলের পড়া! যাচ্ছেতাই অবস্থা। ক্যালিফোর্নিয়াতে এক ফ্লিম ফ্যাস্টিভালে সিনেমাটি পুরো দেখা। জন বার্গারের ‘ফ্লাওয়ারস্ ইন দ্যা কোর্ট ইয়ার্ড’ অবলম্বনে ‘একগোছা চন্দ্রমল্লিকা’ আমি সিনেমা শেষ করে উঠতে পারছিলাম না, মাথা কেমন ঘুরছিল। সেদিন রাতে নাইপল, পিটার আর লিডিয়া না থাকলে আমি হয়তো আর হলে ফিরতে পারতাম না। সারারাত্রি ঘুম হয়নি আমার। ‘চন্দ্রমল্লিকা’ চিত্রকর্মটি ছিলো খুব সাধারণ, যাকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছিল সিনেমা। ১৯২২ সালের ক্লেবারের চিত্রকর্মটিতে উজ্জ্বল হয়ে ফুটে ছিল একগোছা লাল চন্দ্রমল্লিকা যা তাকের উপর পড়েছিলো। ফুলের পেছনে পড়েছিলো একটা খালি ফুলদানি। ফুলগুলো কি ফুলদানিতে সাজিয়ে রাখার জন্য, নাকি ফুলদানি থেকে তুলে এনে তাকের উপর রাখা হয়েছে তা সঠিক করে বলা খুব কঠিন। তবে ফুলগুলি ফেলে দেয়ার মতো শুকিয়ে যায়নি। সিনেমার চরিত্র নেলা প্যারিসের মেয়ে। প্যারিসের রাস্তায় হেঁটে হেঁটে এন্টিক কেনার শখে একটি গানের মূল্যে চন্দ্রমল্লিকার এই চিত্রকর্ম কিনলেও ঘরের কোন দেয়ালে রাখবে ভেবে দ্বিধায় পড়ে গ্যারেজেই ফেলে রাখে। প্রায় ৫ বছর পর নেলা গ্যারেজ পরিষ্কার করতে গিয়ে চিত্রকর্মটি ফিরে পায়। যদিও ততদিনে খসে গেছে রং। ক্যানভাসের ওপর অনেক বেশি সাদা দাগে ছোপ ছোপ পড়ে প্রায় অকেজো হবার জোগাড়। এক শিল্পীর কাছে পাঠিয়ে দেয় ঠিক করে আনার জন্য। ফুলের জন্য কালচে গাঢ় লাল রং, দেয়ালের তাকের জন্য বাদামি, দেয়ালের জন্য, যেখানে তাক লাগানো আছে ধুসর রং। এছাড়া আলোর দিকের ফুলের পাপড়ির জন্য অবর্ণনীয় ম্যজেন্টা-গোলাপি রং। সব কিছুই বলে দিচ্ছে সেই সময়ের কথা। ১৯২২। যখন ঘর ছিলো ছোট আর ছোট ছোট ঘরেই মানুষ বাস করতো, বড় মন নিয়ে। সেপ্টেম্বরের শেষে কোনো এক পড়ন্ত বেলা। সূর্যের শেষ রশ্মির আলোয় ছোট্ট একটা ঘরের দেয়ালে ঝুলানো তাকের উপর কেউ একগোছা ফুল ছুঁড়ে দিয়েছে, গৃহযুদ্ধ শেষ। প্রকট দূর্ভিক্ষ। ১৯২২ সাল সামনে রেখেই আবার আঁকতে শুরু করে দিলো নেলার শিল্পী বন্ধু। কাহিনি এভাবেই শুরু। তারপর অনেক অনেক কথা।

ওর কথা, ওর বারবার এই সিনেমা দেখার কারণ আমি আগে জানতে পারিনি কিছুই। ক্যালিফোর্নিয়া থেকে পড়া শেষ করে দেশে ফিরে খুঁজতে থাকি আমার ওকে- সেমন্তী। ফিরে পাই চন্দ্রমল্লিকার একটি পোর্টেট। খুব সাধারণ। আঁকিয়ে হাতের জলছাপের একটি চিত্রকর্ম। আগ্রহ জন্মায় আরও জানার। সেমন্তীর ডায়োরি বলে দেয় আরও অনেক আলোআঁধারী জানা। বুট জুতোর চাপে চন্দ্রমল্লিকারা চিড়েচ্যাপ্টা হয়ে যাওয়ার অনেক গল্পই আমার এখন জানা। কিন্তু আলো আসবার আগে অন্ধকার দেয়ালের ভাঁজে আমি যে একা হয়ে গেছি সেমন্তী!

সেমন্তীর টিনএজে গৃহশিক্ষকের কাছ থেকে উপহার পাওয়া একগুচ্ছ চন্দ্রমল্লিকা রয়ে গিয়েছিল মনের আনাচে। তা জীবন যুদ্ধেও ফুরিয়ে যায়নি। বাইশে যখন চিত্রশিল্পী অনির্বাণ আবার সেই চন্দ্রমল্লিকার চিত্রকর্ম নিয়ে উপস্থিত হলো তার সামনে ঠেকায় কি তার সাধ্য! ভেসে গেলো অনির্বাণ, সেমন্তী আর চন্দ্রমল্লিকা। রুপন্তীর আসা। দুমদাম সুখে দিন কাটানো। তারপর যা হয় আর কি। অনির্বাণের ফিরে যাওয়া চরিত্রের গভীরে। উদাসীন পুরুষত্বের জোয়ারে অনির্বাণ নাডিনের হাত ধরে ম্যানচেষ্টারে। একলা সেমন্তী রুপন্তীকে নিয়ে শুরু করে তালতাল অন্ধকারের সমতল ভূমিতে দাঁড়িয়ে থাকা বিশাল পাথরজীবন। বড়শিতে গাঁথা এক সময়।

আমি হলিক্রসে তখন টেনে পড়ছি। রোজ সেমন্তীর এক কাপ কফি আর একটি সিনেমায় দিন যাচ্ছিল। টেনে টেনে কর্তব্যগুলো করে যাওয়া কেবল। এপ্রিল তখন এমনি এক বৃষ্টি ধোঁয়া সোদা গন্ধের রাস্তা পেরিয়ে সেমন্তী ঘরে ফিরেই খুব উচ্ছ্বাসে বললো, আজ যা দারুণ বৃষ্টি হলো। রিকশার হুড ফেলে ভিজলাম খানিকটা।

নাদিরা গামছা এগিয়ে দিতে দিতে বললো, যে ঠান্ডা লাগাইছেন, তারপর আবার ভিজলেন?

আমি গাল ফুলিয়ে বললাম, নাদিরাপু আজ ভাত দিবা না, এমনকি কফিও।

হে হে করে হেসে বললো, তুই ভিজবি? এখনও হচ্ছে।

যা ঝড় হলো, তুমি ফোন ধরছিলে না কেন? আমার ভয় করে না বুঝি?

ফোন ধরবো কি? ফোন রিকশার সিটের নিচে ছিলো,

আমি কাছে আসতেই বললাম, তুমি ছবির হাটে গেছিলে?

আবার হাসতে হাসতে বললো, একটা খেয়েছি মাত্র।

চুপ করে থাকলাম।

কি রে ভিজবি?

না, তোমার ইচ্ছে হয় তো আবার ভেজো, আমার কাল এক্সাম, পড়া আছে।

নাদিরা পানি দে বাথরুমে- বলতে বলতে ঘরে চলে গেলো।

শত গরমেও হালকা গরম পানি দিয়ে গোসল করা অভ্যাস ছিল। ঘরে ঢুকে ‘শ্রাবণের ধারার মতো পড়ুক ঝরে’, গান শুনতে শুনতে বাথরুমে ঢুকলো। প্রায় আধা ঘণ্টা পর বেরিয়ে ডাইনিংয়ে বসে ভাত খেলো, ওর ভেতরটা যেন নরম তুলতুলে লাগছিল। আমি পেছনে থেকে আম্মু বলে জড়িয়ে ধরে বললাম, তুমি এতো সুন্দর কেন? ভাসা ভাসা কালো চোখ তুলে বললো, পাগলী তুই বেশি সুন্দর! খুনসুটি করে তার স্বভাবমতো আমার হাত ধরে টেনে নিয়ে গেলো বৃষ্টি দেখাতে। জানালার ওপাশটায় একটি গাছ কেবল হেলছে, একাবার এদিকওদিক। বেশ ঝড়। তার সাথে বড় বড় বৃষ্টির ফোঁটা। আর কোনো গাছপালা নেই। রাস্তার দুইধারে ট্রাফিক জ্যামে আটকে পড়া মানুষ প্রায় সব ইঁদুরভেজা। বৃষ্টির ফোঁটাগুলো সন্ধ্যার তরল অন্ধকারে রাস্তার উপর যানবাহনের ধুলিমাখা কাচে অস্পষ্ট নকশা তৈরি করে আছে। শ্রাবণী সেন গাইছে।

আম্মু, এই গানটি সাহানা বাজপেয়ী দারুণ গেয়েছে কিন্তু!

ইনষ্ট্রুমেন্ট দিয়ে গেয়েছো তো?

হ্যাঁ, এটা ম্যাড়ম্যাড়ে লাগে।

রবীন্দ্রসঙ্গীতের পিওর স্বাদ কিন্তু মিউজিক ছাড়াই।

তুমি যাই বলো আমার সোমলতা আর সাহানার গায়কী ভালো লাগে।

আর কার?

আমি হেসে বললাম, অর্ণবের। সত্যি বলতে কি আম্মু অর্ণবের মিউজিক দারুণ!

মুখটা হঠাৎ কালো করে বললো, আবার অর্ণব!

এক ফোঁটা বৃষ্টি ছুঁয়ে এনে কপালে ছুঁয়ে বললো, যা পড়তে যা।

চলে এলাম।

সে তার টুকটাক কাজ শেষ করে কফি আর সিনেমা নিয়ে বসে পড়লো। সিনেমা শেষ না করেই ঘুমিয়ে পড়লো। নাদিরা এসে আলো অফ করে মাথার কাছে পানি দিয়ে চলে গেলো। আমি গুড নাইট জানাতে এসে দেখি, ঘুম। শ্বাসটা একটু জোরে নিচ্ছিলো। ভাবলাম, বৃষ্টিতে ভিজেজে বোধহয়। কপালে রোজকার চুমু দিয়ে ঘুমিয়ে পড়েছিলাম।

সকালের তাড়াহুড়ো, স্কুলের গাড়ি এসে পড়ার তাড়া। সেমন্তীকে ডাকছিলাম, আম্মু ওঠো, অফিসে দেরী হয়ে যাচ্ছে। সেমন্তী উঠছে না। আমি বেরুবো, নাদিরাও সকালে ব্যস্ত খুব। বারবার কানের কাছে ঘ্যানরঘ্যানর- আপা তো ওঠে না। আমি স্কুল কেডস পরেই ওর ঘরে উঁকি দিলাম, দেখি কাঁথা গায়ে নিশ্চিন্তে ঘুমুচ্ছে। শরীর ঠান্ডা কেন? নিশ্চিন্তে ঘুমুলে কি শরীর ঠান্ডা হয়ে যায়?

আপা আপনি নামেন তো! রাত ১২টা বাজতে চললো, আপনি রিকশায় ঘুরতেই আছেন, আপনার ঘরবাড়ি নাই, আমার আছে।

রিকশা থেকে নেমে পড়লাম, ৩২ নাম্বারে। পাঁচশ টাকা হাতে দিতেই রিকশাওয়ালা খেঁকিয়ে উঠে বললো- ভাংতি নাই। রাইতদুপুরে ভাংতি কই পামু?

দিতে হবে না, ইশারা করে হাঁটতে থাকলাম।

আলো–অন্ধকারের মাখামাখিতে সন্ধ্যায় বর্ষা হয়ে যাওয়া রাস্তাগুলোর গর্তের জমে থাকা পানি দেখা যাচ্ছে না। আজ চন্দ্রমল্লিকা পেলাম না। এপ্রিলের আর তিনদিন বাকি আছে, নাদিরা আপু অপেক্ষা করছে।

হঠাৎ পুলিশের জিপ সামনে, প্রথমে হাউকাউ করলেও পরে বুঝিয়ে বললে চলে গেলো হুস করে।

বেশ খানিকটা জটলা সামনে, এগিয়ে যেতেই দেখলাম এক্সিডেন্ট। ডাক্তারি বিদ্যা কাজে লাগিয়ে বেচারিকে সিএনজিতে তুলে দিয়ে হনহন করে বাড়ির পথ ধরলাম।

সেন্ট্রাল রোডের মুখে ঢুকতেই কাঁঠালচাপার গন্ধে চারপাশ মৌ মৌ করে উঠলো, দু’একটা কাঁঠাল চাপা তুলতেই মনটা কেমন ভালো হয়ে গেলো, পাশের বাড়ির একটি  তীক্ষ্ম আলো চোখে পড়তেই ফিরলাম রাস্তার দিকে, একি চন্দ্রমল্লিকা গাছটা বাড়ির নিচের দিকে ঝুলে আছে। একটি চন্দ্রমল্লিকা ফুটে আছে, সেমন্তী কোথায় বিজন নগরে ঘুমিয়ে নিশ্চিন্তে আর এই চন্দ্রমল্লিকা বর্ষায় ভিজে আরো লাল হয়ে আমার দিকে তাকিয়ে আছে যেন। কলিংবেল বাজাতেই নাদিরা আপু’র প্রশ্ন, পাও নাই আজকে, তাই না?



রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৬ জুলাই ২০১৮/তারা

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়