ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে উৎসবমুখর মঙ্গল শোভাযাত্রা

আহমদ নূর || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৮:৫৪, ১৪ এপ্রিল ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে উৎসবমুখর মঙ্গল শোভাযাত্রা

চারুকলা ইনস্টিটিউটের সামনে থেকে শুরু হয় শোভাযাত্রা (ছবি : আহমদ নূর)

নিজস্ব প্রতিবেদক : বাংলা নববর্ষের মঙ্গল শোভাযাত্রা যথাযোগ্য উৎসবমুখর আবহের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে। এবার মঙ্গল শোভাযাত্রার স্লোগান ‘মস্তক তুলিতে দাও অনন্ত আকাশে।’

রোববার সকাল ৯টার দিকে শোভাযাত্রাটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউটের সামনে থেকে শুরু হয়। এরপর শোভাযাত্রাটি শাহবাগ ও টিএসটি মোড় ঘুরে ফের চারুকলার সামনে গিয়ে শেষ হয়।

শোভাযাত্রায় আবহমান বাংলার ইতিহাস-ঐতিহ্যের সঙ্গে সাম্প্রতিক ঘটনাপ্রবাহের প্রতীকী উপস্থাপনের নানা বিষয় স্থান পেয়েছে। বাঙালির প্রাণের উৎসব বর্ষবরণ। বাংলা ১৪২৬ সনকে বরণে নানা আয়োজনের মধ্যে মঙ্গল শোভাযাত্রা অন্যতম।

পহেলা বৈশাখের মঙ্গল শোভাযাত্রার ৩০ বছর পূর্তি হল এ বছর। এবার শোভাযাত্রার স্লোগানটি কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘নৈবেদ্য’ কাব্যগ্রন্থ থেকে নেওয়া।

শোভাযাত্রার উদ্বোধন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মো. আখতারুজ্জামান।

শোভাযাত্রায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও বিভিন্ন স্তরের মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ নিয়েছেন। ঢাক-ঢোলের বাদ্যি আর তালে তালে তরুণ-তরুণীদের নৃত্য, হৈ-হুল্লোড় আর আনন্দ উল্লাস মাতিয়ে রেখেছে পুরো শোভাযাত্রাকে। কঠোর নিরাপত্তার চাদরে মোড়ানো ছিলো পুরো এলাকা।



রোববার সকাল থেকেই টিএসসি, দোয়েল চত্বর, শাহবাগ ও এর আশপাশ এলাকায় মানুষ জড়ো হতে থাকে। নয়টার মধ্যেই পুরো এলাকা লোকে লোকারণ্য হয়ে ওঠে। লাল-সাদা পোশাকে উচ্ছ্বল নারীদের মাথায় শোভা পেয়েছে নানা রঙের ফুলের টায়রা। তরুণদের পরনে ছিল লাল-সাদা পাঞ্জাবী।

শোভাযাত্রা ঘিরে কয়েক স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়। পুলিশ ও র্যালবের সঙ্গে ছিল সোয়াত সদস্যরা। সাদা পোশাকে গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরাও ছিলো তৎপর।

শোভাযাত্রার পুরো পথে সিসিটিভি ক্যামেরা ও পর্যাপ্তসংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়। পথিমধ্যে কেউ মঙ্গল শোভাযাত্রায় অংশ নিতে পারেনি। কারণ, চতুর্দিকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সমন্বয়ে মানববর্ম গঠন করা হয়। গতবারের মতো এবারও মুখোশ ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়। প্রতিবারের মতো ভুভুজেলা নিষিদ্ধ করা হয়। নিরাপত্তার জন্য রমনা পার্ক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস ও আশপাশ এলাকায় কেন্দ্রীয় রাস্তা বন্ধ রাখা হয় শোভাযাত্রার জন্য।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউটের উদ্যোগে ১৯৮৯ সালে শুরু হয় মঙ্গল শোভাযাত্রা। শুরুর দিকে এই শোভাযাত্রার নাম ছিল বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা। ১৯৯৬ সালে এর নাম হয় মঙ্গল শোভাযাত্রা। ২০১৬ সালের নভেম্বর মাসে জাতিসংঘের সংস্থা ইউনেস্কোর সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের তালিকায় স্থান করে নিয়েছে এ মঙ্গল শোভাযাত্রা।




রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৪ এপ্রিল ২০১৯/নূর/ ইয়ামিন/ইভা/শাহনেওয়াজ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়