ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

শেরপুরের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত, ফসলের ব্যাপক ক্ষতি

মো. শরিফুর রহমান || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৩:০৮, ২৩ এপ্রিল ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
শেরপুরের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত, ফসলের ব্যাপক ক্ষতি

শেরপুর সংবাদদাতা : টানা দুই দিনের বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে শেরপুরের ঝিনাইগাতী ও নালিতাবাড়ী উপজেলার আটটি ইউনিয়ন প্লাবিত হয়েছে।

শুক্র ও শনিবার দুই দিনের টানা বর্ষণে এবং ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে মহারশী ও সোমেশ্বরী নদীর পানি দুই কূল উপচে ঝিনাইগাতী সদর, ধানশাইল, কাংশা, নলকুড়া, গৌরীপুরসহ সাতটি ও নালিতাবাড়ীর রাজনগর ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়। এতে বহু লোক পানি বন্দি হয়ে পড়েছে। পানির তোড়ে এলাকার রাস্তাঘাট, কালভার্ট, কাঁচা-পাকা বাড়িঘর, ছোট ছোট ব্রিজ-কালভার্টসহ বোরো ধানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।

ঝিনাইগাতী উপজেলার মহারশী নদীর পূর্বের ভাঙাবাঁধ দিয়ে সাবরেজিস্ট্রি  অফিসের সম্মুখ দিয়ে উপজেলা পরিষদে বন্যার পানি ঢুকে পড়ে। এতে যুব উন্নয়ন, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার কার্যালয় ও পোস্ট অফিসের সামনে হাঁটু পানি জমে। 

শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলায় গত শনিবার চেল্লাখালী নদীর বাঁধ ভেঙে ৫০০ একর বোরো ধান পানিতে তলিয়ে গেছে। আরো এক হাজার একর ফসল ডুবে যাওয়ার আশঙ্কা করছে এলাকার কৃষক। বাঁধ নির্মাণের দাবিতে কৃষকরা শনিবার সকাল পৌনে ১১টা থেকে দুই ঘণ্টা নালিতাবাড়ী-শেরপুর সড়ক অবরোধ করে রাখে।

বিএডিসি ও এলাকাবাসী জানায়, পাহাড়ি ঢলে গত ২১ ডিসেম্বর উপজেলার বাঘবেড় ইউনিয়নের উত্তর সন্নাসীভিটা এলাকায় চেল্লাখালী নদীর ৬৫ ফুট ফসল রক্ষা বাঁধ ভেঙে যায়। চার মাসেও সংস্কার না করায় গত বুধবার পাহাড়ি ঢলের পানি ভাঙা অংশ দিয়ে ঢুকে উত্তর সন্নাসীভিটা এলাকায় বোরো ধানের জমিতে  জলাবদ্ধতা সৃষ্টি করে। গত শুক্রবার বিএডিসির পক্ষ থেকে ভাঙা অংশে বালুর বস্তা ফেলা হয় এবং কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মনোয়ারুল ইসলাম, রাবার ড্যাম প্রকল্প পরিচালক ধীরেন্দ্র চন্দ্র দেবনাথ, জেলা প্রশাসক ড. মল্লিক আনোয়ার হোসেন ভাঙা অংশ পরিদর্শন করেন। শনিবার সকাল ৯ টার দিকে পাহাড়ি ঢলের পানির স্রোতে বালুর বস্তা ভেসে যায়। ভাঙা অংশ দিয়ে পানি প্রবেশ করে উত্তর সন্নাসীভিটা, দক্ষিণ সন্নাসীভিটা, পূর্ব সন্নাসীভিটা এলাকায় ৫০০ একর পাকা ধান খেত পানিতে ডুবে গেছে। এইসব এলাকায় আরো এক হাজার একর ফসলের খেতে জলবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তরফদার সোহেল রহমান বলেন, গত শুক্রবার ভাঙা অংশে বালুর বস্তা ফেলা হয়েছিল। সেই বাঁধ শনিবার সকালে ভেঙে গেছে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। পানি নেমে গেলে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা করে দ্রুত বাঁধ সংস্কারের ব্যবস্থা করা হবে।

এ ব্যাপারে শেরপুর খামার বাড়ীর উপ-পরিচালক আশরাফ উদ্দিনের সঙ্গে যোগাযোগ করলে শেরপুরের ঝিানাইগাতী উপজেলায় সাড়ে চার হাজার হেক্টর এবং বাকি সব মিলিয়ে ৪৯০ হেক্টর জমির ধানের ক্ষতি হয়েছে বলে তিনি জানান।



রাইজিংবিডি/শেরপুর/২৩ এপ্রিল ২০১৭/মো. শরিফুর রহমান/বকুল

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়