ঢাকা     মঙ্গলবার   ২৩ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১০ ১৪৩১

নিভৃত গ্রামেও ওয়ালটন পণ্যের জয় জয়কার

মো. আনোয়ার হোসেন শাহীন || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৮:৪৪, ২৮ আগস্ট ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
নিভৃত গ্রামেও ওয়ালটন পণ্যের জয় জয়কার

মাগুরা প্রতিনিধি : মাগুরা জেলা শহর থেকে ২৮ কিলোমিটার দূরে মধুমতি-নবগঙ্গা নদী বিধৌত জনপদ মহম্মদপুর উপজেলা। উপজেলা সদর থেকে ১২ কিলোমিটার দূরে দীঘা ইউনিয়ন সদরের বাজারের নাম নাগড়া। প্রকৃতি ঘেরা ছোট বাজার । এই বাজারের বড় আকর্ষণ ওয়ালটন ইলেট্রনিক্স পণ্যের শোরুম।

রোববার বিকেল সাড়ে ৪টা। শোরুমের ভেতরে প্রবেশ করতেই  দেখা গেল ১০-১২ জন ক্রেতা । অধিকাংশই নিম্ন আয়ের। এদের একজন পাশের গ্রামের কুমরুল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আম্বিয়া খাতুন। তিনি ফ্রিজ কিনতে এসেছেন। মোক্ষম সময় হিসেবে কোরবানি ঈদের সময়কেই তিনি বেছে নিয়েছেন।

এই শিক্ষক জানালেন, বহুদিনের স্বপ্ন তার একটা নিজের ফ্রিজ হবে। সেই স্বপ্ন আজ পূরণ হতে চলেছে। বিভিন্ন ব্র্যান্ডের শোরুম ঘুরে এবং আত্মীয়-স্বজনের কাছে শুনে  তিনি ওয়ালটন ফ্রিজ কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

 


কারণ হিসেবে তিনি বলেন, ‘সাধ্যের মধ্যে মানসম্পন্ন ও সবচেয়ে টেকসই ফ্রিজ  ওয়ালটন। আরেকটি বিষয় একবারে গ্রামের বাজারে পাচ্ছি। শহর-গ্রামে দাম একই।’

শুধু এখানে নয়- মাগুরা সদর, শ্রীপুর, মহম্মদপুর ও শালিখা  উপজেলার ৩০টি গ্রামীণ হাটবাজারে ওয়ালটন ইলেট্রনিক্স পণ্যের শোরুম রয়েছে। ঈদ উপলক্ষে এসব দোকানে ক্রেতাদের ভিড় উপচে পড়া ।

বিক্রেতারা জানান, ঈদকে সামনে রেখে তাদের বিক্রি রেকর্ড পরিমাণ । বিশেষ করে বাহারি রঙ আর ডিজাইনে মুগ্ধ ক্রেতা সাধারণ।

মহম্মদপুর উপজেলা সদরের বিএসএআর দাখিল মাদ্রাসার সহকারী ক্রীড়া শিক্ষক আব্দুল হান্নান বাঁশী ওয়ালটনের বড় ফ্রিজ কিনে ভ্যানে করে নিয়ে বাড়ি যাচ্ছেন। সঙ্গে স্ত্রী রওশনারা বেগম। বলেন, ‘একসময় ফ্রিজ ছিল দামি বিলাসী দ্রব্য। এখন তা অতি প্রয়োজনীয়। সাধ আর সাধ্যের সমন্বয় হওয়ায় অনেকদিন পর ফ্রিজের স্বপ্ন পূরণ হল।’

মহম্মদপুর উপজেলা সদরের মা ইলেক্ট্রনিক্সের মালিক ও ওয়ালটনের ডিলার মো. খাইরুল ইসলাম জানান, দেশের ক্রমবর্ধমান চাহিদার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ওয়ালটন বাজারজাত করছে নতুন নতুন প্রযুক্তির রেফ্রিজারেটর ও ফ্রিজার, এনড্রয়েড স্মার্ট ফোন, ফিচার ফোন, সিআরটি- এলইডি টেলিভিশন এবং বিভিন্ন ধরনের হোম ও ইলেক্ট্রিক্যাল অ্যাপ্লায়েন্সেস।

 


তিনি ব্যবসা প্রসারের উদ্দেশে মহম্মদপুরের কানুটিয়া, নাগড়া ও নহাটা বাজারে, সদরের আলোকদিয়া ও শ্রীপুর উপজেলার নাকোল বাজারে ওয়ালটনের শোরুম দিয়েছেন। একইভাবে জেলা শহরের ওয়ালটনের পরিবেশক। গ্রামের সব ধরনের পরিবার এসব শোরুম থেকে ফ্রিজ নগদ-কিস্তিতে কিনছেন। এসব গ্রামীণ এলাকায় সাড়া জাগিয়েছে ওয়ালটন পণ্য।

তিনি জানান, ওয়ালটন পণ্য সারা বছরই বিক্রি হয়। তবে কোরবানি ঈদের আগে ফ্রিজের চাহিদা খুবই বেড়ে যায়।

সদরের গোপালনগর গ্রামের বাসিন্দা মাহামুদুল আকবর হায়দার দুলাল বলেন, ‘এখন ক্রেতারা বিদেশি ব্র্যান্ডের উচ্চ দামের ফ্রিজ আর কিনতে চান না। উন্নত প্রযুক্তিতে দেশে তৈরি  দশ বছরের গ্যারান্টিযুক্ত ওয়ালটন ফ্রিজ এখন অধিকাংশ ক্রেতার প্রথম পছন্দ।’

মহম্মদপুরের কলেজ শিক্ষক ও গৃহিণী সিরিনা আকতার শেলী জানান, পছন্দের রঙ, ডিজাইন,  চাহিদা মতো স্টোরেজ আর ভালো দামের কারণে তিনি ওয়ালটন ফ্রিজ কিনেছেন ।

মাগুরা শহরের ওয়ালটনের পরিবেশক আরিফ হোসেন জানান, ওয়ালটনের প্রতিটি পণ্য আন্তর্জাতিক মানের। দশ বছরের গ্যারান্টি ও বিক্রয়োত্তর সেবার জন্য ক্রেতার আস্থা অর্জন করতে সমর্থ হয়েছে ওয়ালটন পণ্য।  বিশেষ করে ফ্রিজের চাহিদা সবচেয়ে বেশি। পবিত্র ঈদুল আজহায় এখানে সহস্রাধিক ফ্রিজ বিক্রির লক্ষ্য রয়েছে তাদের।

 

 

রাইজিংবিডি/মাগুরা/২৮ আগস্ট ২০১৭/ মো. আনোয়ার হোসেন শাহীন/টিপু/রুহুল/শাহনেওয়াজ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়