ঢাকা     মঙ্গলবার   ১৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৩ ১৪৩১

ধাওয়ান-বিজয়ের সেঞ্চুরির পর ঘুরে দাঁড়িয়েছে আফগানিস্তান

আবু হোসেন পরাগ || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৪:২৪, ১৪ জুন ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
ধাওয়ান-বিজয়ের সেঞ্চুরির পর ঘুরে দাঁড়িয়েছে আফগানিস্তান

শেষ সেশনে পাঁচ উইকেট তুলে নিয়ে ঘুরে দাঁড়িয়েছে আফগানিস্তান

ক্রীড়া ডেস্ক : নিজেদের অভিষেক টেস্টের প্রথম দিনে মিশ্র অভিজ্ঞতা হলো আফগানিস্তানের। দিনের প্রথম ভাগে আফগানিস্তানের বোলারদের ওপর ছড়ি ঘুরিয়েছেন ভারতের ব্যাটসম্যানরা। বিশেষ করে শিখর ধাওয়ান ও মুরলি বিজয়। দুই ওপেনারই করেছেন সেঞ্চুরি। তাতে একটা সময় ভারতের স্কোর ছিল ১ উইকেটে ১৮০। তবে শেষ সেশনে দারুণ বোলিংয়ে ৬৩ রানে ৫ উইকেট তুলে নিয়ে ঘুরে দাঁড়িয়েছে আফগানিস্তান।

বৃহস্পতিবার বৃষ্টিবিঘ্নিত বেঙ্গালুরু টেস্টের প্রথম দিন শেষে ভারতের সংগ্রহ ৬ উইকেটে ৩৪৭ রান। হার্দিক পান্ডিয়া ১০ ও রবিচন্দ্রন অশ্বিন ৭ রানে অপরাজিত আছেন। দুই দফা বৃষ্টিতে প্রথম দিনে খেলা হয়েছে ৭৮ ওভার।

সকালে ভারতীয় অধিনায়ক অজিঙ্কা রাহানে টস জিতে নিয়েছিলেন ব্যাটিং। আর ব্যাটিংয়ে নেমে আফগানিস্তানের বোলারদের তুলোধুনা করেছেন ধাওয়ান। প্রথম ভারতীয় ও সব মিলিয়ে মাত্র ষষ্ঠ ব্যাটসম্যান হিসেবে টেস্টের প্রথম দিনে লাঞ্চের আগে সেঞ্চুরি তুলে নেন তিনি।



অসাধারণ এই কীর্তিতে ভিক্টর ট্রাম্পার, চার্লস ম্যাককার্টনি, ডন ব্র্যাডম্যান, মজিদ খান ও ডেভিড ওয়ার্নারের পাশে বসলেন ধাওয়ান। প্রথম তিনজনের কীর্তি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের আগে। অর্থাৎ গত ৮০ বছরে টেস্টের প্রথম দিনের প্রথম সেশনে সেঞ্চুরি করা মাত্র তৃতীয় ব্যাটসম্যান ধাওয়ান। ২০১৭ সালের জানুয়ারিতে সিডনিতে অস্ট্রেলিয়ার ওয়ার্নার সবশেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে এই কীর্তি গড়েছিলেন পাকিস্তানের বিপক্ষে।

ধাওয়ানের আগে টেস্টের প্রথম দিনের প্রথম সেশনে ভারতীয় ব্যাটসম্যানের সর্বোচ্চ স্কোর ছিল বীরেন্দর শেবাগের ৯৯, ২০০৬ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে। ধাওয়ানের সেঞ্চুরিতে ভারত লাঞ্চে গিয়েছিল বিনা উইকেটে ১৫৮ রানে। ৯১ বলে ১৯ চার ও ৩ ছক্কায় তখন ধাওয়ান অপরাজিত ১০৪ রানে।

লাঞ্চের পর অবশ্য আর ৩ রানের বেশি তিনি করতে পারেননি। ৯৬ বলে সাজান ১০৭ রানের ইনিংসটি। লাঞ্চের পর এক ঘণ্টা যেতেই বেঙ্গালুরুর এম চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে নামে বৃষ্টি। বৃষ্টি না থামায় চা বিরতিও নেওয়া হয় আগেভাগেই। এক ঘণ্টার বেশি সময় পর আবার শুরু হয় খেলা। কিন্তু পুরো চার ওভার খেলা না হতেই আবার নামে বৃষ্টি। বিজয় তখন সেঞ্চুরি থেকে ১ রান দূরে।



প্রায় পৌনে এক ঘণ্টা পর আবার খেলা শুরু হলে বিজয় পূর্ণ করেন ক্যারিয়ারের দ্বাদশ টেস্ট সেঞ্চুরি, ১৪৩ বলে। কিন্তু সেঞ্চুরির পর তিনিও ইনিংস বড় করতে পারেননি। ধাওয়ানকে ফিরিয়ে আফগানিস্তানের প্রথম টেস্ট উইকেট নিয়েছিলেন পেসার ইয়ামিন আহমাদী, বিজয়কে এলবিডব্লিউ করেন আরেক পেসার ওয়াফাদার। ১৫৩ বলে ১৫ চার এক ছক্কায় বিজয় করেন ১০৫ রান।

বিজয়ের বিদায়ের পরই ভারতের ধসের শুরু। প্রথম সেশনে ধাওয়ানের ব্যাটিংয়ের সামনে পাত্তাই পাননি তার সানরাইজার্স হায়দরাবাদ সতীর্থ রশিদ খান ও মোহাম্মদ নবী। কিছু করে দেখাতে পারেননি আরেক স্পিনার মুজিব উর রহমানও। তবে শেষ সেশনে দারুণ বোলিং করেন রশিদ, মুজিব।
 


তিনে নেমে ফিফটি করেছিলেন লোকেশ রাহুল। বিজয় আউট হওয়ার পরের ওভারে তিনি ইয়ামিনের বলে বোল্ড হয়েছেন ৫৪ রানে। কিছুক্ষণ পর অধিনায়ক রাহানেকে (১০) এলবিডব্লিউ করেন রশিদ। আফগানিস্তান যদিও উইকেটটা পেয়েছে রিভিউ নিয়ে।

এরপর দ্রুতই ফিরেছেন চেতেশ্বর পূজারা (৩৫) আর দিনেশ কার্তিক (৪)। তবে কার্তিকের আউট নিয়ে নিশ্চয় হতাশায় পুড়ছে ভারত। দিনের তিন ওভার বাকি থাকতে তিনি হয়েছেন রান আউট। তার আগে মুজিবের গুগলিতে পরাস্ত হয়েছেন পূজারা। শেষ সেশনে পাঁচ উইকেট তুলে নিয়ে আফগানরা তাই স্বস্তিতেই দিন শেষ করেছে।

 

 

রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৪ জুন ২০১৮/পরাগ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়