ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

রাঙ্গা ঋণী, আশিকুর ধনী

নজরুল মৃধা || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৪:২৩, ৪ ডিসেম্বর ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
রাঙ্গা ঋণী, আশিকুর ধনী

নিজস্ব প্রতিবেদক রংপুর : আসন্ন একাদশ সংসদ নির্বাচনে রংপুরের গঙ্গাচড়া, কাউনিয়া-পীরগাছা, মিঠাপুকুর ও পীরগঞ্জের চার হেভিওয়েট প্রার্থী মধ্যে এইচএন আশিকুর রহমান সবচেয় ধনী। মসিউর রহমান রাঙ্গার ৯৩ লাখ টাকা ব্যাংক ঋণ রয়েছে। টিপু মুন্সির নিজ নামে কোনো টাকা নেই। স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর কৃষি কিংবা ও অকৃষি কোন জমি নেই। রংপুর জেলা নির্বাচন অফিসে দাখিলকৃত হলফনামা থেকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।

রংপুর -১ গঙ্গাচড়া আসনে মহাজোটের প্রার্থী জাতীয় পার্টির মহাসচিব মসিউর রহমান রাঙ্গার ব্যাংক ঋণ রয়েছে ৯৩ লাখ ৫৩ হাজার ৪১৫ টাকা। হলফনামা অনুযায়ী মসিউর রহমান রাঙ্গার নামে কোনো মামলা নেই। তার কৃষিখাত থেকে আয় হয় বছরে ১ লাখ ৭৭ হাজার ৪৩৮ টাকা। এছাড়া বাড়ি ভাড়া পান ১৭ লাখ ৩১ হাজার ৮৭ টাকা। ব্যবসা বাবদ তার আয় হয় ৪৪ লাখ ৬৯ হাজার ৩৫ টাকা। চাকরি খাতে তার আয় দেখানো হয়েছে ২১ লাখ ৪১ হাজার ৫৮০ টাকা। এছাড়া অন্যান্য খাতে আয় রয়েছে ২ লাখ ৩৪ হাজার ৩৩২ টাকা। এছাড়া রাঙ্গার স্থাবর সম্পদ, কৃষি জমি, আবাসিক ও বাণিজ্যিক দালান ও ফিলিং স্টেশন রয়েছে, যার মূল্য  কয়েক কোটি টাকা। পেশা হিসেবে দেখানো হয়েছে পরিবহণ মালিক ও  সাধারণ ব্যবসায়ী।

রংপুর-৪ কাউনিয়া -পীরগাছা আসনের আওয়ামী লীগের প্রার্থী টিপুর মুন্সির নিজ নামে নগদ কোনো টাকা ও কৃষি জমি নেই। চাকরি খাতে আয় দেখানো হয়েছে ২ লাখ ৪০ হাজার টাকা। টিপু মুন্সির স্ত্রীর নামে ব্যাংকে রয়েছে ৩৪ লাখ ৩৪ হাজার ৬৬৬ টাকা। স্ত্রীর নামে বন্ড,স্টক এক্সচেঞ্জে চার কোটি লাখ ৫১ হাজার ৬১ হাজার টাকা রয়েছে। স্বর্ণ রয়েছে ৬০ হাজার টাকার। এছাড়া আসবাবপত্র দেখানো হয়েছে ৪০ হাজার টাকার।

রংপুর-৫ মিঠাপুকুর আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী এইচএন অশিকুর রহমান সবচেয়ে বিত্তশালী।  তার কৃষি জমি রয়েছে ১ কোটি ৬০ লাখ টাকার। ব্যবসায় রয়েছে ২ কোটি ৭৬ লাখ টাকা। শেয়ার ও সঞ্চয়পত্র রয়েছে ১ কোটি ৭ লাখ টাকার। চাকরির পারিতোষিক খাতে আয় দেখানো হয়েছে ৬ কোটি ৬০ হাজার টাকা। অন্যান্য খাতে ৭৮ হাজার টাকা আয় দেখানো হয়েছে।  তার নগদ টাকা রয়েছে ৪ কোটি ৬৮ লাখ টাকা। এছাড়া স্বর্ণ রয়েছে ৪০ ভরি।

রংপুর-৬ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী স্পিকার ড.শিরীন শারমিন চৌধুরী  প্রতি বছরে বাড়ি, অ্যাপার্টমেন্ট ও দোকান ভাড়া থেকে আয় করেন ৪৪ লাখ ২৫ হাজার টাকা। তার শেয়ার ও সঞ্চয়পত্র রয়েছে ৩ লাখ ২০ হাজার টাকার।  শিক্ষাগত যোগ্যতা পিএইচডি। তার পেশা হিসেবে দেখানো হয়েছে শিক্ষক, চিকিৎসক ও পরামর্শক। এসব খাতে তার বছরে আয় হয় ২৪ লাখ ৮৪ হাজার টাকা। এছাড়া অন্যান্য খাতে তার আয় দেখানো হয়েছে আরো ৯১ হাজার টাকা। নিজ নামে নগদ টাকা রয়েছে ২৭ লাখ ৭২ হাজার ১০০ টাকা এবং স্বামীর নামে রয়েছে ১০ লাখ ১৯ হাজার টাকা। তার কাছে স্বর্ণ ও অন্যান্য অলঙ্কার রয়েছে ৩০ ভরি। তার কৃষি কিংবা অকৃষি জমি নেই। 



রাইজিংবিডি/রংপুর/৪ ডিসেম্বর ২০১৮/নজরুল মৃধা/শাহেদ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়