ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

হলি আর্টিজানে জঙ্গি হামলা মামলার সাক্ষ্য হয়নি

মামুন খান || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৮:৩৬, ১০ জানুয়ারি ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
হলি আর্টিজানে জঙ্গি হামলা মামলার সাক্ষ্য হয়নি

নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজধানীতে গুলশানের হলি আর্টিজানে জঙ্গি হামলা মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ হয়নি।

বৃহস্পতিবার মামলাটি সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য ধার্য ছিল। কিন্তু এদিন কোনো সাক্ষী আদালতে হাজির হননি। এজন্য ঢাকার সন্ত্রাস বিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের ভারপ্রাপ্ত বিচারক মনির কামাল আগামী ১৬ জানুয়ারি পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের তারিখ ধার্য করেন।

এখন পর্যন্ত মামলাটিতে ৮ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে। মামলাটিতে গত ২৬ নভেম্বর আট আসামির বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত।

আসামিরা হলেন-হামলার মূল সমন্বয়ক বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত কানাডার নাগরিক তামিম চৌধুরীর সহযোগী আসলাম হোসেন ওরফে রাশেদ ওরফে আবু জাররা ওরফে র‌্যাশ, ঘটনায় অস্ত্র ও বিস্ফোরক সরবরাহকারী নব্য জেএমবি নেতা হাদিসুর রহমান সাগর, নব্য জেএমবির অস্ত্র ও বিস্ফোরক শাখার প্রধান মিজানুর রহমান ওরফে বড় মিজান, জঙ্গি রাকিবুল হাসান রিগ্যান, জাহাঙ্গীর আলম ওরফে রাজীব ওরফে রাজীব গান্ধী, হামলার অন্যতম পরিকল্পনাকারী আব্দুস সবুর খান (হাসান) ওরফে সোহেল মাহফুজ, শরিফুল ইসলাম ও মামুনুর রশিদ।

আসামিদের মধ্যে প্রথম ৬ জন কারাগারে আছেন। অপর দুই আসামি পলাতক। এদিন কারাগারে থাকা ৬ আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়।

মামলাটিতে গত ৮ আগষ্ট আট আসামির বিরুদ্ধে দাখিল করা চার্জশিট গ্রহণ করে আদালত। চার্জশিটে নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির প্রাক্তন শিক্ষক হাসনাত রেজা করিমের বিরুদ্ধে ওই ঘটনায় জড়িত থাকার বিষয়ে তথ্য-প্রমাণ না পাওয়ায় তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।

গত ২৩ জুলাই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কাউন্টার টেররিজম বিভাগের পরিদর্শক হুমায়ূন কবির মামলাটিতে চার্জশিট দাখিল করেন।

প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের ১ জুলাই রাতে গুলশানের হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা হামলা করে দেশি-বিদেশি নাগরিকদের জিম্মি করে। এ সময় অভিযান চালাতে গিয়ে জঙ্গিদের গ্রেনেড হামলায় গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সহকারী কমিশনার রবিউল ইসলাম ও বনানী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সালাউদ্দিন খান নিহত হন। রাতের বিভিন্ন সময় তিন বাংলাদেশিসহ ২০ জন জিম্মিকে ধারাল অস্ত্র দিয়ে হত্যা করে জঙ্গিরা।

পরদিন সকালে যৌথ বাহিনী কমান্ডো অভিযান চালায়। এতে ছয় হামলাকারী নিহত হয়। জীবিত উদ্ধার করা হয় ১৩ জিম্মিকে। এ ঘটনায় ২ পুলিশ কর্মকর্তা, জাপানি, ইতালি, বাংলাদেশি বংশোদ্ভতু আমেরিকানসহ ১৮ বিদেশি ও ২ বাংলাদেশি এবং ৬ জঙ্গিসহ ২৮ জন নিহত হন।

২০১৬ সালের ৪ জুলাই নিহত ৫ জঙ্গিসহ অজ্ঞাতদের আসামি করে গুলশান থানায় সন্ত্রাস দমন আইনে মামলা দায়ের করা হয়। 

 

 

 

রাইজিংবিডি/ঢাকা/১০ জানুয়ারি ২০১৯/মামুন খান/সাইফ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়