সংলাপ চেয়ে মুখ রক্ষা করছে ঐক্যফ্রন্ট : হাছান মাহমুদ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক : নির্বাচনে চরম পরাজয়ের মধ্য দিয়ে নিজেদের যে ব্যর্থতা ফুটে উঠেছে তার গ্লানি ঢাকতে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট সংলাপের কথা বলছে বলে জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।
শনিবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট আয়োজিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘নির্বাচনে চরমভাবে হেরে যাওয়ার কারণে ঐক্যফ্রন্টের নেতারা এক দিকে সংলাপের কথা বলছেন আরেক দিকে নানা কথাবার্তা বলে নিজেদের মুখ রক্ষার চেষ্টা করছেন।’
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ড. কামাল হোসেন বলেছেন নতুন নির্বাচনের জন্য সংলাপ করবেন। আসলে নির্বাচনে হেরে যাওয়ার গ্লানি ঢাকার জন্য সংলাপের নামে ভাওতাবাজির কথা বলছেন ঐক্যফ্রন্টের নেতারা। নির্বাচনে নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকার জন্য এবং জনগণের চোখ অন্যদিকে ফেরানোর জন্য সংলাপের কথা বলছেন তারা।’
বাংলাদেশের ইতিহাসে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সবচাইতে শান্তিপূর্ণভাবে হয়েছে উল্লেখ করে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বাংলাদেশের ইতিহাসে এই নির্বাচনে সবচেয়ে কম সহিংসতা হয়েছে। সব নির্বাচনে পুলিশের উপর হামলা হয়েছে, পুলিশ আহত হয়েছে নিহত হয়েছে। এই নির্বাচনে একজন পুলিশ আহতও হয় নি। সবচাইতে কম সহিংসতা ও শান্তি পূর্ণ নির্বাচন হয়েছে।’
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘অকশনে যারা নমিনেশন বিক্রি করেন, তারা কিভাবে নির্বাচনে জয়লাভ করবেন। বাংলাদেশের ইতিহাসে আমরা দেখিনি তিনশত আসনে আটশত নমিনেশন। যা বিএনপি এবার করেছে।’
‘নির্বাচনের দশদিন আগে যারা হাত পা গুটিয়ে ঘরের মধ্যে বসে থাকে তারা কিভাবে নির্বাচনে জয়লাভ করবে। যারা জীবন্ত মানুষের গায়ে পেট্রোল ঢেলে মানুষ হত্যা করেছে, পবিত্র কোরআন শরিফে আগুন দিয়েছে তাদেরকে মানুষ ভোট দিতে পারে?’, বলেন তথ্যমন্ত্রী।
বিএনপির নেতাদের মানসিক চিকিৎসা কারানোর আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি বিএনপি নেতৃবৃন্দের কাছে অনুরোধ জানাবো, আপনাদের কয়েকজন নেতার চিকিৎসা করানোর জন্য। তাদের মানসিক চিকিৎসার খুবই প্রয়োজন। আর কাদের চিকিৎসা প্রয়োজন আপনারা সবাই জানেন। আজকে রিজভী সাহেব বলেছেন সরকারের ব্যর্থতার কথা, আমি তো বলছি বিএনপির ব্যর্থতা ঢাকতে ড. কামাল, রিজভী সাহেবসহ অনেকে নানা কথা বলছেন।’
তিনি বলেন, ‘আমি বিএনপিকে অনুরোধ জানাবো, এই ধরনের কথাবার্তা না বলে নিজেরা আপনাদের পরাজয়ের কারণ বিশ্লেষণ করুন। আর নেতৃত্ব পরিবর্তন করুন, তাহলে হয়ত আবার জনগণের কাছে যেতে পারবেন।’
বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক সারাহ বেগম কবরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের উপ প্রচার সম্পাদক আমিনুর ইসলাম আমিন, মহানগর দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, আওয়ামী লীগ নেতা মিজানুর রহমান বিটু, অভিনয় শিল্পী হাসান ইমাম, এটিএম শামসুজ্জামান, রোকেয়া প্রাচী, তারিন, নুতন।
রাইজিংবিডি/ঢাকা/১২ জানুয়ারি ২০১৯/রেজা/শাহনেওয়াজ
রাইজিংবিডি.কম
আরো পড়ুন