ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

ইজতেমা ময়দানের ৭০ ভাগ প্রস্তুতি সম্পন্ন

হাসমত আলী || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৬:১৫, ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
ইজতেমা ময়দানের ৭০ ভাগ প্রস্তুতি সম্পন্ন

নিজস্ব প্রতিবেদক, গাজীপুর : টঙ্গীর তুরাগ নদীর তীরে বিশ্ব ইজতেমা ময়দানের ৭০ ভাগ শেষ হয়েছে বলে জানিয়েছেন গাজীপুরের জেলা প্রশাসক ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ুন কবীর।

তিনি বিশ্ব ইজতেমার ময়দান পরিদর্শণ শেষে সোমবার বিকেলে এ কথা বলেন। বাকি কাজ ১৩ ফেব্রুয়ারি মধ্যে শেষ হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

আগামী শুক্রবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) থেকে টঙ্গীর তুরাগ নদীর তীরে শুরু হচ্ছে তাবলীগ জামাতের বিশ্ব ইজতেমা।

জেলা প্রশাসক বলেন, ‘পুরো ইজতেমা ময়দান নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে ফেলা হবে। ৯ হাজারের উপরে পুলিশ সদস্য, দুইশতাধিক র‌্যাব সদস্য, তিন শতাধিক আনসার সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন। পাশাপাশি গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা কাজ করবে। বিজিবি প্রস্তুত থাকবে। সব মিলিয়ে ১০ হাজারের অধিক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য কাজ করবে। এছাড়া ফায়ার সার্ভিসের তিনশ সদস্য কাজ করবে।’

জেলা প্রশাসক বলেন, ‘ইজতেমা ময়দানে ১৭টি প্রবেশ গেট আছে। এসব গেটে আর্চওয়ে থাকবে। ১৫টি উপরে ওয়াচ টাওয়ার থাকবে। ময়দানের উপরে হেলিকপ্টার টহল থাকবে। ৩০০ সিসি টিভি থাকবে। পাশাপাশি তাৎক্ষনিক বিচার, নিরাপত্তা, বিশুদ্ধ খাবার এবং আনুসাঙ্গিক বিষয় সুষ্ঠুভাবে সমাধানের জন্য একজন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে ৩০টি মতো ভ্রাম্যমান আদালত করব। যাতে সুষ্ঠভাবে ইজতেমা সম্পন্ন করা যায়।’


তিনি বলেন, ‘ময়দানের অবকাঠামোগত রাস্তা-ঘাট আশাকরি ১২ ফেব্রুয়ারির মধ্যে শেষ হয়ে যাবে। পরিসেবার মধ্যে রয়েছে পয়ঃনিষ্কাষণ ও পানির ব্যবস্থা। এখানে তিনতলা বিশিষ্ট ৩১টি পাকা ভবনে ৮হাজারের মতো ইউনিট টয়লটে ব্যবস্থা রয়েছে। আরো ১ হাজার মোবাইল টয়লেট করা হচ্ছে। মুসল্লিদের আসার জন্য ৪০০ বিআরটিসি বাস, বিশেষ ট্রেনসহ লঞ্চ নৌ-বোর্ড থাকবে।’

জেলা প্রশাসক বলেন, ‘আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য প্রতিবছর দেশি বিদেশি মুসল্লিরা এখানে আসেন। এবার আরো বেশি আসবেন। প্রতিবছর আমরা সাধারণত ১০০টির মতো দেশের প্রতিনিধি পাই। তাতে ১০/১৫ হাজার মুসল্লি আসেন। এ বছরও আসবেন। এর জন্য ভিসা পদ্ধতি সহজ এবং দ্রুততম করা হয়েছে। আশা করি সব মিলিয়ে একটি সুন্দর ইজতেমা অনুষ্ঠিত হবে। আল্লাহর সন্তুষ্টি বিধানে আমরা কাজ করতে পারব।‘

আখেরি মোনাজাতের ব্যাপারে প্রশ্নের জবাবে জেলা প্রশাসক বলেন, ‘চারদিন ব্যাপি একটি ইজতেমা হবে। কিন্তু দুটো ম্যানেজমেন্ট হবে। ১৫-১৬ ফেব্রুয়ারি একটি গ্রুপ এবং ১৭-১৮ আরেকটি গ্রুপ ম্যানেজমেন্ট করবে। প্রত্যেকেই স্ব স্ব অংশের শেষের দিকে একটি করে মোনাজাত করবে। এতে আশাকরি সকলে অংশগ্রহণ করবে। এখানে কোন দ্বিধাদ্বন্দ্ব নাই। সকলেই আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য কাজ করছে। সবাই মিলে আজকেও সৌহার্দমূলক পরিবেশে মিটিং করেছি।’

ইতোমধ্যে ময়দানের বিশাল এলাকা জুড়ে সামিয়ানা টানানো সম্পন্ন হয়েছে। বাকি অংশে সামিয়ানা টানানোর কাজ করছেন। ঢাকা-গাজীপুরসহ দেশের বিভিন্নস্থান থেকে মাদ্রসা ছাত্র-শিক্ষক, ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে মাঠ প্রস্তুতের কাজ করছেন।

উল্লেখ্য, আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হচ্ছে চার দিনব্যাপি এবারের বিশ্ব ইজতেমা। ১৫ ও ১৬ ফেব্রুয়ারি ইজতেমার কার্যক্রম পরিচালনা করবেন মাওলানা জোবায়েরের অনুসারীগণ। ১৭ ও ১৮ ফেব্রুয়ারি ইজতেমার কার্যক্রম পরিচালনা করবেন সাদপন্থী ওয়াসিফুল ইসলামের অনুসারীগণ।

 

 

রাইজিংবিডি/গাজীপুর/১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৯/হাসমত আলী/টিপু

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়