ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

কবে চালু হবে, কেউ জানে না

রুবেল আহমেদ প্রিন্স || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৮:৪৮, ১১ জুলাই ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
কবে চালু হবে, কেউ জানে না

সাভার সংবাদদাতা: সাত বছর আগে শেষ হয়েছে অবকাঠামোগত নির্মাণ কাজ অথচ আজো চালু হয়নি ধামরাই অর্থোপেডিক্স হাসপাতাল ট্রমা সেন্টার । কবে চালু হবে, কেউ জানেনা।

ধামরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স-সংলগ্ন ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের পাশে ২০ শয্যার এ ট্রমা সেন্টারের নির্মাণ কাজ শেষ হয় ২০১২ সালে। এতে ব্যয় হয়েছিল প্রায় দেড় কোটি টাকা। এরপর সাত বছর ধরে দাঁড়িয়ে আছে ভবনটি। চিকিৎসা সেবা চালু না হওয়ায় হাসপাতালটির শয্যা, যন্ত্রাংশসহ অনেক কিছুই নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। কক্ষে কক্ষে বাসা বেঁধেছে মাকড়সা।

দেশের অন্যতম দুর্ঘটনাপ্রবণ মহাসড়ক হিসেবে পরিচিত ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক। এই মহাসড়কে দূর্ঘটনায় আহত রোগীদের দ্রুত চিকিৎসা সেবা দেওয়ার লক্ষ্যেই ধামরাই অর্থোপেডিক্স হাসপাতাল ট্রমা সেন্টারের নির্মাণ। কাজ শুরু হওয়ার দুই বছরেই তিন তলা বিশিষ্ট হাসপাতাল ভবনের নির্মাণ কাজ শেষ হয়।

নির্মিত ট্রমা সেন্টার প্রাঙ্গণে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ভবনটির প্রবেশ পথে একটি বড় তালা ঝুলছে। ধুলা-বালিতে প্রায় ঢেকে গেছে তালাটি। ভবনের জানালার বেশ কিছু কাচের গ্লাসও এই দীর্ঘ দিনে হয়েছে ক্ষতিগ্রস্ত। পাশাপাশি রোদ-বৃষ্টিতে ভবনটির রং নষ্ট হয়ে গিয়ে কোথাও কোথাও দেখা দিয়েছে শ্যাওলা।

 

তালাবদ্ধ গেটের ফাঁক দিয়ে ভবনের ভিতরে যতদূর চোখ যাবে ততদূর দেখা যাবে শুধু ধুলা-বালির আস্তরণ। ভবনটির দ্বিতীয় তলায় রোগীদের জন্য রাখা হয়েছে বেড। হাসপাতাল ভবনটিতে এখনও দেওয়া হয়নি বিদ্যুৎ সংযোগ। ফলে রাতের বেলা এটি ভুতুড়ে ভবনে রূপ নিচ্ছে।

কথা হয়, ধামরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা সেবা নিতে আসা স্থানীয়দের সাথে। ৬০ বছর বয়সী স্থানীয় বাসিন্দা কুদ্দুস মিয়া বলেন, ‘ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের ধামরাই অংশে প্রায়ই ছোট-বড় সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে। এসব দূর্ঘটনায় আহত হয় অসংখ্য যাত্রীসহ পথচারী। যাদের অধিকাংশ ধামরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে দ্রুত ঢাকার হাসপাতালগুলোতে প্রেরণ করা হয়। যদি ট্রমা সেন্টারটি চালু থাকতো তাহলে আহত রোগীরা হাতে নাগালেই উন্নত সেবা পেতেন।’

শিশির আহমেদ নামে অপর এক স্থানীয় যুবক বলেন, ‘ট্রমা সেন্টারটি চালু না থাকায় সড়ক দূর্ঘটনায় আহতদের অনেকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকায় যেতে যেতে পথিমধ্যে রোগীর মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়। ট্রমা সেন্টারটি চালু থাকলে এমন মৃত্যুর হার কমতো।’

ট্রমা সেন্টারটি উদ্বোধনসহ কবে নাগাদ চালু হতে পারে জানতে ধামরাই উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার ফজলুল হকের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, ‘মূলত ডাক্তার সংকটের কারণেই ট্রমা সেন্টারটি চালু করা যাচ্ছে না। ডাক্তার সংকটের কারণে শুধু এই ট্রমা সেন্টারই নয়, দেশের অনেক হাসপাতালেই চিকিৎসা সেবা ব্যহত হচ্ছে।’

 

রাইজিংবিডি/ সাভার/১১ জুলাই ২০১৯/রুবেল আহমেদ প্রিন্স/টিপু

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়