ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ১৮ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৫ ১৪৩১

জোড়াতালি দিয়েই চলছে কার্যক্রম

ফরহাদ হোসেন || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৫:১৫, ২০ আগস্ট ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
জোড়াতালি দিয়েই চলছে কার্যক্রম

লক্ষ্মীপুর সংবাদদাতা : লক্ষ্মীপুর প্রাণিসম্পদ দপ্তরে জনবল সংকটের কারণে মাঠ পর্যায়েতো দূরের কথা অফিসের কার্যক্রমও ঠিকমতো পরিচালনা করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে দায়িত্বপ্রাপ্তদের। জোড়াতালির মতো ‘এক পদের লোক দিয়ে অন্য পদের  কার্যক্রম চালিয়ে নেওয়া হচ্ছে’।

লক্ষ্মীপুর জেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর সূত্রে জানা যায়, জেলা ও পাঁচটি উপজেলা অফিসে ৬৯টি পদের মধ্যে ৩৬টি পদই রয়েছে শূন্য। এর মধ্যে কমলনগর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার পদটিও শূন্য। এছাড়া ভেটেরিনারি সার্জন ২, ভেটেরিনারি ফিল্ড এ্যাসিস্টেন্ট ৭, ভেটেরিনারি কম্পাউন্ডার ৩, মাঠ সহকারী কৃত্রিম প্রজনন ৮, ক্যাশিয়ার ১, অফিস সহায়ক ১, ড্রেসার ৩টি পদ শূন্য। তাছাড়া প্রাণিসম্পদ সহকারীর ৫টি পদের মধ্যে খালি রয়েছে সবগুলো। সাতটি অফিস সহকারী কাম-কম্পিউটার অপারেটরের মধ্যে খালি রয়েছে ৫টি পদ। 

আরো জানা যায়, জেলার মাংস, দুধ ও ডিম উৎপাদনের জন্য প্রায় তিনহাজার খামার রয়েছে। এর মধ্যে ১৪৫৫টি খামার রেজিষ্ট্রেশনকৃত। জনবল সংকটের ফলে খামারগুলো যথাসময়ে পরিদর্শন করতে পারছেন না সংশ্লিষ্টরা। অন্যদিকে চিকিৎসক সংকটের কারণে হাসপাতালে নিয়ে আসা অসুস্থ পশু-পাখিকে চিকিৎসা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। প্রাণিসম্পদ কর্মকার্তারাই কোনরকম চিকিৎসার কাজটি চালিয়ে যাচ্ছেন বলে জানা গেছে।

স্থানীয় খামারিরা জানান, প্রাণিসম্পদ অফিসের কোন লোক কখনোই খামার পরিদর্শনে যায় না। দেয় না কোন পরামর্শ। তাছাড়া প্রাণিসম্পদ কার্যালয় হাসপাতালে ডাক্তার না থাকায় গবাদি পশুর চিকিৎসা করানো যাচ্ছে না। জরুরি ভিত্তিতে জনবল সংকট দূর করলে উপকূলীয় এ জেলার খামারিরা উপকৃত হবে বলে মন্তব্য করেন তারা।

জেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরের হিসাবরক্ষক সাহাব উদ্দিন বলেন, ‘অভিজ্ঞ না হয়েও করতে হচ্ছে কম্পিউটারের কাজ। এতে দায়িত্বপ্রাপ্ত কাজের ক্ষতি হচ্ছে। তবুও অফিসের প্রয়োজনে দিনের অধিকাংশ সময়ই কম্পিটারের সামনে পড়ে থাকতে হয়। মাঝে মাঝে কিছু কাজ করতে না পারলে, বাইরের দক্ষ অপারেটর দিয়ে তা করিয়ে নিচ্ছি।’ এতে সময় ও টাকা উভয় নষ্ট হচ্ছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

এ বিষয়ে লক্ষ্মীপুর জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ আইয়ুব মিঞা প্রতিবেদককে বলেন, ‘মাংস, ডিম ও দুধ উৎপাদনে লক্ষ্মীপুর দেশের অন্যতম একটি জেলা। গুরুত্বপূর্ণ পদগুলো শূন্য থাকায় উপকূলীয় এ জেলার খামারিরা ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন। তারপরেও অন্যান্য পদের লোক দিয়ে শূন্য পদগুলোর কার্যক্রম কোনরকম চালিয়ে নিচ্ছেন। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে শূন্য পদগুলো পূরণের জন্য কথা বলেছি। আশা করছি, খুব শিগগির পদগুলো পূরণ হবে।’



রাইজিংবিডি/ লক্ষ্মীপুর/২০ আগস্ট ২০১৯/ফরহাদ হোসেন/জেনিস

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়