ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

নান্দনিক সৌন্দর্যের খালটি এখন আবর্জনার ভাগাড়

জেলা সংবাদদাতা || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৫:০২, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
নান্দনিক সৌন্দর্যের খালটি এখন আবর্জনার ভাগাড়

বিরেন্দ্র খাল। খালটি লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ পৌর শহরের মধ্য দিয়ে চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ হয়ে মেঘনায় মিলিত হয়েছে। একসময় প্রবহমান খালটি ছিল এখানের নান্দনিক সৌন্দর্য।

ঢাকা থেকে মেঘনা নদী হয়ে ছোট বড় ট্রলারে করে নিত্য প্রয়োজনীয় মালামাল আনা নেয়া করতেন এই অঞ্চলের ব্যবসায়ীরা। রামগঞ্জ থানার সামনের ঘাটে ভিড়তো ট্রলারগুলো। এছাড়াও এ খাল দিয়ে কলাবাগান, মৌলভীবাজার ও সোনাপুর উত্তর বাজার এলাকায় সরকারিভাবে নির্মিত ঘাটে চাঁদপুর থেকে ট্রলারে করে আনা মালামাল নামানো হতো। খালটি দিয়ে মালামাল আনা নেয়া সহজতর হওয়ায় উপজেলার সোনাপুর বাজারটি ‘রাজধানী’হিসাবে পরিচিত ছিল এ অঞ্চলের ব্যবসায়ী ও স্থানীয়দের কাছে। এছাড়াও এই খালের পানি দিয়ে কৃষকরা তাদের সোনার ফসল ফলাতেন।

নান্দনিক সৌন্দর্যের সে খালটি এখন অবহেলা-অনাদরে আবর্জনার ভাগাড়ে পরিনত হয়েছে। রামগঞ্জ পৌর শহরের বিভিন্ন হোটেল-রেস্তোঁরা, আবাসিক এলাকা ও বাজারের বর্জ্য ফেলা হচ্ছে বিরেন্দ্র খালে। এতে খালটি ভরে যাওয়া ছাড়াও দূষিত হচ্ছে পানি। প্রশস্ততা ও গভীরতা কমে বর্তমানে খালটি আবর্জনার স্তূপ দিয়ে পূর্ণ। ছড়াচ্ছে দুর্গন্ধ। ফলে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে আশপাশের বসবাসকারীদের।

স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, কয়েক বছর পূর্বেও এখানকার ব্যবসায়ীরা ট্রলারে করে খালটি দিয়ে মালামাল আনা নেয়া করতেন। বর্ষাকালে খালের পানি দিয়ে তারা গোসল ও গৃহস্থালির কাজ করতেন। তাছাড়া ফসল ফলাতেন খালটির পানি দিয়ে। কিন্তু ময়লা-আবর্জনা ও বর্জ্যে খালটি ভরাট হয়ে তার অস্তিত্ব হারাতে যাচ্ছে।

 

 

এছাড়া খালের বিভিন্ন অংশে মাছের ঘের ও অবৈধভাবে দোকানঘর নির্মাণ করা হচ্ছে। এতে স্বাভাবিক পানি চলাচল বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়ে পড়েছে। সংস্কার আর খননের অভাবে বর্ষাকালেও আগের মতো পানি আসেনা এক সময়ের খরস্রোতা এ বিরেন্দ্র খালে। খালটি পুনরুদ্ধারের জন্য সরকারের সংশ্লিষ্টদের হস্তক্ষেপ চেয়েছেন স্থানীয়রা।

রামগঞ্জের পৌর মেয়র আবুল খায়ের পাটোয়ারী জানান, খালটি খনন ও অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের উদ্যোগ কয়েকবারই নেয়া হয়েছে। কিন্তু বিভিন্ন কারণে তা আর সম্ভব হয়নি। তবে খুব শিগগিরই খালটি উদ্ধার ও পরিস্কারের জন্য পদক্ষেপ নেয়া হবে।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুনতাসির জাহান বলেন, বিরেন্দ্র খালের মালিকানা নিয়ে জেলা পরিষদ ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের বিরোধ রয়েছে। বিরোধ নিরসন হলে খালটি সংস্কার ও খননে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. শাহজাহানও জানালেন খুব শিগগিরই খালটি সংস্কারে উদ্যোগ নিবেন।


লক্ষ্মীপুর/ফরহাদ হোসেন/টিপু

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়