ঢাকা     বুধবার   ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১১ ১৪৩১

দিনটি ছিল বউদের আনন্দ-উচ্ছ্বাসের

জেলা সংবাদদাতা || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৬:২২, ১০ অক্টোবর ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
দিনটি ছিল বউদের আনন্দ-উচ্ছ্বাসের

কাজলী রাণী (৩০)। শারদীয় দুর্গোৎসবের বিজয়া দশমীর পরের দিন বাড়ির পাশে ডোমার উপজেলার নিমোজখানা হাট দূর্গামণ্ডপ মাঠে মেলায় এসেছেন কেনাকাটা করতে। কিনেছেন শাশুড়ির জন্য শাড়ি, শ্বশুরের জন্য পোশাক, স্বামীর জন্য পাঞ্জাবি, ছয় বছরের মেয়ের জন্য লাল টুকটুকে জামা, চুরি, আলতা। অন্যদের কেনাকাটা করতে করতে নিজের জন্য কিছু কেনা হয়নি। ততক্ষণে টাকা শেষ। তাতেও তার আক্ষেপ নেই।

বছরের এই একটি দিন নিজের মতো করে পরিবারের সবার জন্য কিছু কিনতে পারেন। এতেই খুশি। নিজের সেই সন্তুষ্টির কথা অকাপটে জানালেন।

কাজলীর মতো বাসন্তী, দেবযানী, মায়া, সান্তনা রাণীও এসেছেন ১১০তম ঐতিহ্যবাহী বউমেলায়। তারাও কিনেছেন পছন্দ মতো। এই বউমেলা দুই হাজারের বেশি নারীর পদচারণায় মুখরিত হয়ে ওঠে।

মেলার উপদেষ্টা বাবু দীনেশ চন্দ্র রায়, সভাপতি ভবেন্দ্রনাথ রায় ও সম্পাদক অমূল্য অধিকারী জানান, আগের দিনে গ্রামগঞ্জে রাস্তাঘাট ও যানবাহন তেমন না থাকায় পায়ে হেঁটে দূর-দূরন্তের পুজামণ্ডপ পরিদর্শন করা দূঃসাধ্য ছিল। তাই পূর্বপুরুষেরা নারীদের বিনোদনের জন্য ১৯০৯ সালে প্রথম মেলার আয়োজন করে। যা বউমেলা নামে পরিচিত। এ বছর মেলার ১১০তম বছর পূর্ণ হলো।

তারা জানান, বউমেলায় শুধু নারীরা আসে কেনাকাটা ও আনন্দ উপভোগ করতে। এখানে পুরুষ আসার নিয়ম নেই।

বিজয়া দশমীর পরের দিন বিকেল হতে মধ্যরাত পর্যন্ত ডোমার উপজেলাসহ আশপাশের এলাকা থেকে আসে কয়েক হাজার নারী। তারা একে অপরের সঙ্গে কুশল বিনিময় করে মিষ্টি, মণ্ডাসহ উপহার বিনিময় করে। যা শত বছর থেকে চলে আসছে।

মেলা দেখার জন্য হিন্দুধর্মালম্বী ছাড়াও অন্য ধর্মের নারীদের উৎসুক উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। এতে মেলা প্রাঙ্গণ সম্প্রীতির মিলন মেলায় পরিণত হয়।



নীলফামারী/ইয়াছিন মোহাম্মদ সিথুন/বকুল

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়