ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

ধর্ষণের শিকার দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রী

নোয়াখালী প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০২:৪১, ২২ নভেম্বর ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
ধর্ষণের শিকার দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রী

নোয়াখালী সদর উপজেলার এক গ্রামে দ্বিতীয় শ্রেণির এক মাদ্রাসাছাত্রী (৮) গণধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

শিশুটির বাবা সুধারাম মডেল থানায় অভিযোগ জানালে এসআই বিপুল কুমার ঘোষ ওই এলাকার সাবেক ইউপি মেম্বার ও আওয়ামী লীগের নেতা ছায়দুল হককে শুক্রবার সালিশ বৈঠকের মাধ্যমে মীমাংসা করার নির্দেশ দিয়েছেন। এ ঘটনায় এলাকায় চরম অসন্তোষ বিরাজ করছে।

ওই মাদ্রাসাছাত্রীর মা আলেয়া বেগম জানান, আমাদের প্রতিবেশী আবদুল জলিল হুক্কুর ছেলে মিরণ (২৭) কিছুদিন আগে আমার শিশুকন্যাকে চকলেটের লোভ দেখিয়ে পরিত্যক্ত ঘরে নিয়ে ধর্ষণ করে। এরপর সে বিভিন্ন সময়ে একাধিকবার আমার মেয়েকে ধর্ষণ করে। বিষয়টি প্রতিবেশী আবদুল খালেকের ছেলে সাহেদ ও মিরণের ছোট ভাই মিজান টের পেয়ে তারাও ঘটনা লোকজনকে জানিয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে শিশুটিকে একাধিকবার ধর্ষণ করে। অবশেষে বুধবার (২০ নভেম্বর) দুপুরে সাহেদ শিশুটিকে পুনরায় ধর্ষণ করে। সন্ধ্যায় পেটব্যথা শুরু হলে সে ঘটনার বিষয়ে বিস্তারিত জানায়।

তিনি আরো জানান, ঘটনা জানার পর রাতেই ভিকটিমের বাবা সুধারাম মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দেন। থানার এসআই বিপুল কুমার ঘোষ রাতেই ঘটনাস্থলে গিয়ে স্থানীয় সাবেক মেম্বার ছায়দুল হককে বিষয়টি সালিশ বৈঠকে মীমাংসা করতে বলেন।

ঘটনাস্থলে সাংবাদিকরা গেলে ছায়দুল হক ছাদু বলেন, এখানে আপনাদের কাজ কী? বিষয়টি সালিশ বৈঠকে মীমাংসা করতে পুলিশ আমাকে দায়িত্ব দিয়েছে। এ ব্যাপারে আপনারা বাড়াবাড়ি করবেন না।

স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আবদুর রহিম জানান, আমি ঘটনার বিষয়ে জানি। ভিকটিমের পরিবারকে থানায় মামলা করার নির্দেশ দিয়েছি। অতিউৎসাহী কেউ ঘটনা ধামাচাপা দিতে চাইলে পুলিশ অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা নেবে।

ঘটনার বিষয়ে একাধিকবার মুঠোফোনে কল করেও তদন্ত কর্মকর্তা এসআই বিপুল কুমার ঘোষের সঙ্গে কথা বলা যায়নি।

সুধারাম মডেল থানার ওসি নবীর হোসেন জানান, এ ঘটনায় থানায় কোনো অভিযোগ আসেনি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

 

নোয়াখালী/মাওলা সুজন/রফিক

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়