মরণ নেশায় আসক্ত ৭ বছরের রুবেল
হবিগঞ্জ প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম
বয়স মাত্র ৭। এ বয়সেই মরণ নেশায় আসক্ত শায়েস্তাগঞ্জ রেলওয়ের পরিত্যক্ত কলোনির রুবেল।
শিশুটি যে নেশায় আসক্ত, তার নাম ‘ড্যান্ডি গাম’। জুতার আঠা বা সাইকেল টায়ারের গাম থেকে সহজেই তৈরি হয় ‘ড্যান্ডি গাম’।
১০ থেকে ২০ টাকায় এই জুতার আঠা বা সাইকেল টায়ারের গাম কিনে পলিথিনের ব্যাগে নিয়ে কিছুক্ষণ ঝাঁকানো হয়। তারপর পলিথিন থেকে নাক বা মুখ দিয়ে বাতাস টেনে নেয়।
আসক্তিতে জড়িয়ে পড়াদের ভাষ্য, এতে করে তাদের কোনো ধরনের ক্ষুধা অনুভব হয় না। মনে এক ধরনের আনন্দ অনুভব হয়।
শিশু রুবেলের বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা বুধন মিয়া বেঁচে নেই। রুবেল বুধন মিয়ার দ্বিতীয় স্ত্রীর সন্তান। অভাবের কারণে লেখাপড়া তো দূরে, ঠিকমতো খাবারই জোটেনা। এ ফাঁকে রুবেল ফুটপাতে ঘুরে বেড়ানোর কারণে সঙ্গীদের পাল্লায় পড়ে ড্যান্ডি গাম-এ আসক্ত হয়।
এ নেশাটি পথশিশুদের মধ্যে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। একজনের কাছ থেকে ছড়িয়ে যাচ্ছে অন্যজনের কাছে। বস্তি ও কলোনির নিম্ন আয়ের পরিবারের শিশুদের মধ্যে সাধারণত এই আসক্তি দেখা যাচ্ছে।
আলাপকালে রুবেল জানায়, সে এ নেশা ছেড়ে দিতে চায়। কিন্তু সঙ্গীরা তাকে আবারো আসক্ত করে ফেলছে।
স্থানীয় চিকিৎসক ডা. সাদ্দাম হোসেন বলেন, ‘এই গাম নেশায় ব্যবহার করলে শরীরের অনেকগুলো অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ, ব্রেন, কিডনি, লিভার ধীরে ধীরে নষ্ট হয়ে যায়। তাই নেশাটি প্রতিরোধে সবাইকেই একযোগে কাজ করতে হবে।’
মামুন চৌধুরী/টিপু
রাইজিংবিডি.কম
আরো পড়ুন