রাজস্ব বাড়লেও, সেবার মান বাড়েনি
হিলি (দিনাজপুর) সংবাদদাতা || রাইজিংবিডি.কম
দিনাজপুরের হিলি চেকপোস্টে রাজস্ব বাড়লেও, সেবার মান বাড়েনি।
কোলকাতা, চেন্নাই, মাদ্রাজ, দার্জিলিংসহ ভারতের বিভিন্ন জেলার সঙ্গে হিলির সড়ক ও ট্রেন যোগাযোগ অনেকটা ভালো থাকায় চিকিৎসা নিতে যাওয়া রোগী, শিক্ষার্থী, ভ্রমণকারীরা এবং দেশি-বিদেশি নাগরিকরা চলাচলের জন্য এই চেকপোস্ট বেছে নেন।
ফলে এই চেকপোস্ট দিয়ে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে পাসপোর্টধারী যাত্রী পারাপারের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। এতে এখানকার রাজস্ব আয় বেড়েছে। কিন্তু যে হারে রাজস্ব আয় বেড়েছে, সে হারে বাড়েনি যাত্রী সেবার মান। এই চেকপোস্টে যাত্রী সেবার সনাতনী সব পদ্ধতি এখনো চলমান। এখানে যাত্রীদের লাগেজ ও ব্যাগ তল্লাশি করা করা হয় ম্যানুয়ালি। যার কারণে যাত্রীদের বেশ হয়রানি পোহাতে হয়। অন্যদিকে, অনেকের মূল্যবান সামগ্রীও হারিয়ে যায়। এছাড়া, এখানে নেই ভাল মানের হোটেল-মোটেল, রেস্টুরেন্ট ও ব্যাংকিং ব্যবস্থা।
ভারতে যাবার প্রস্তুতি নেয়া এক পাসপোর্টধারী যাত্রী রাইজিংবিডিকে জানান, চেকপোস্টটির একমুখী পথ ধরে পণ্য আমদানি-রপ্তানির পাশাপাশি ঝুঁকির মধ্যে দিয়ে তাদের যাতায়াত করতে হয়। এছাড়া ব্যাগ তল্লাশির নামে চলে হয়রানি। এসব কারণে তারা দিন দিন এই চেকপোস্ট ব্যবহারে আগ্রহ হারাচ্ছেন।
কাস্টমস রাজস্ব কর্মকর্তা আবু বক্কর সিদ্দিক রাইজিংবিডিকে জানান, গেল জুলাই-ডিসেম্বর ২০১৯ অর্থ বছরে (৬ মাস) এক লাখ ২৭০৫ জন দেশি-বিদেশি নাগরিক হিলি চেকপোস্ট দিয়ে যাতায়াত করেছেন। এর মধ্যে করমুক্ত যাত্রী ছিলেন এক হাজার ৩৪১ জন। এছাড়া ৫২ হাজার ৮২ জন বহিঃগমণ যাত্রীদের কাছে ভ্রমণ কর থেকে রাজস্ব আয় হয়েছে দুই কোটি ৬০ লাখ ৪১ হাজার টাকা।
ইমিগ্রেশন ওসি রফিকুজ্জামান রাইজিংবিডিকে জানায়, প্রতি বছর সরকার এতো পরিমাণ রাজস্ব আদায়ের পরও এখানে আধুনিক সেবা নেই। ব্যাগেজ তল্লাসিতে নেই কোন আধুনিক স্ক্যানার মেশিন। ভ্রমণকর জমা দেবার জন্য নেই সোনালী ব্যাংকের শাখা অফিস। নেই ভালো কোনো হোটেল-মোটেল বা রেস্টুরেন্ট।
তিনি আরও জানান, যদি সেবার মান বাড়ানো হয় তবে হিলি চেকপোস্ট দিয়ে যাত্রীদের যাতায়াত আরও বেড়ে যাবে। এতে সরকারও আরো বেশি রাজস্ব পাবে।
মোসলেম/বুলাকী
রাইজিংবিডি.কম
আরো পড়ুন